এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় সম্পূর্ণ অন্য রাস্তায় হাঁটলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা, তুমুল সমালোচনা সর্বত্র

প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় সম্পূর্ণ অন্য রাস্তায় হাঁটলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা, তুমুল সমালোচনা সর্বত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তীব্র দলীয় অন্তর্কলহ। ভাঙচুর,পার্টি অফিস জ্বালানো, রাস্তা অবরোধ কিছুই বাদ নেই। রাজ্য রাজনীতিতে যা অন্যতম সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুহুর্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির এতটা বেকায়দায় এখনো পর্যন্ত পড়েনি। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। বরাবরই অবশ্য গেরুয়া শিবিরের আদি ও নব্য নেতাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। আর এই ঝামেলাই বড়োসড়ো বিস্ফোরণের আকার নেয় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর।

ক্ষোভের প্রকাশ এতটাই তীব্র হয়েছে, যেখানে বিজেপি কর্মীদের সরাসরি তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে দেখা যাচ্ছে। এরকমই ঘটনা ঘটেছে কালনায়। প্রসঙ্গত, দেখা যাচ্ছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা বেশিরভাগ নেতা নেত্রীরাই প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন। আর তাই নিয়েই গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার কর্মীদের ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে রাজ্যজুড়ে। 

কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তবে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই তিনি প্রার্থী তালিকায় স্থান পান। আর এ ব্যাপারটি মোটেই মেনে নিতে পারেননি সেখানকার বিজেপি কর্মীরা। যথারীতি এলাকার সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীরা বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে সমর্থন না করে পাল্টা প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূলের প্রার্থীর হয়ে।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, প্রার্থী বিদ্রোহকে পুরোপুরি অন্যখাতে বইয়ে দিয়েছেন কালনার বিজেপি কর্মীরা, যা এই মুহূর্তে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এবারে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এই প্রার্থীকে মোটেই মানতে পারছেন না দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কারণ বরাবরই বিজেপি কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার করেছেন। টেট কেলেঙ্কারিতে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর নামে বড় অভিযোগ আছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকার তরুণ-তরুণীকে তিনি চাকরি দিতে পারেননি। বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় ঐ এলাকার বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দাগি মানুষ যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তখন এই ভোটে তাঁকে যদি বিজেপি নেতা কর্মীরা সমর্থন করেন, তাহলে মানুষের কাছে তাঁরা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেন। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের মতে, যাকে প্রার্থী করা হয়েছে কালনা থেকে, তাঁর কোনোরকম গ্রহণযোগ্যতা নেই এলাকায়। যে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এতদিন এই বিধায়কের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, এখন তাঁরা বিধায়কের হয়ে প্রচার শুরু করতে পারবেন না। আর তাই এলাকার সমস্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রার্থীকে একা করে দিয়ে রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করেছেন।

দলীয় কর্মীরা প্রার্থীকে মানতে না পেরে নির্দল হিসাবে নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু পুরোপুরি অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে কালনাতে। পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা কিন্তু আগামী দিনে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে চলেছে গেরুয়া শিবিরকে। কারণ, যারা প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি তাঁরা এই মুহূর্তে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ভোট ভাগাভাগি হবার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই মুহুর্তে বিজেপির কাছে প্রার্থী সমস্যা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!