এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রার্থীপদ নিয়ে নিশ্চিত নন্দীগ্রাম, তাই লড়াইয়ের প্রস্তুতিও তুঙ্গে তৃণমূল শিবিরে

প্রার্থীপদ নিয়ে নিশ্চিত নন্দীগ্রাম, তাই লড়াইয়ের প্রস্তুতিও তুঙ্গে তৃণমূল শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা যেতে পারে নন্দীগ্রাম এই মুহূর্তে শাসক-বিরোধী উভয়ের কাছেই প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলস্বরূপ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রস্তুতি। অন্যদিকে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে নামতে চলেছেন মেদিনীপুরের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এখনও কোনও দলের পক্ষ থেকেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

তবে যেহেতু তৃণমূল নেত্রী নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের প্রার্থী তিনিই হবেন, তাই তাঁর কথাকে মান্যতা দিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির কিছুটা পিছিয়ে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যথারীতি শাসকদলের রাজ্য স্তরের নেতারা প্রায় নিয়ম করে বর্তমানে নন্দীগ্রামে যাতায়াত শুরু করেছেন। ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম এক এবং নন্দীগ্রাম দুই ব্লকে তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের জোড়া অফিস। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য- নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের রাজনৈতিক এবং সামাজিক চরিত্র ভিন্ন। সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রাম এক যেমন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত, সেরকমই নন্দীগ্রাম দুইতে সংখ্যাগুরুদের আধিপত্য বেশি। তাই দু’জায়গায় দু’রকম কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে দুটি নির্বাচনী অফিস তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বেশ কয়েকবার নন্দীগ্রামে গিয়ে সেখানকার তৃণমূল নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে গিয়ে নির্বাচনের কাজকর্ম তদারক করবেন বলে জানা যাচ্ছে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। প্রসঙ্গত, দোলা সেন নন্দীগ্রাম লড়াইতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। সেক্ষেত্রে দোলা সেন নন্দীগ্রামের হাল-হকিকত যে ভালোই বুঝবেন, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

অন্যদিকে নির্বাচনী অফিসসহ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে এসে যাতে থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী 50000 ভোটের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের লড়াইয়ের গুরুত্ব যে অনেক বেশী তা একবাক্যে স্বিকার করে নিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। একুশের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। আর এই অধ্যায়ে নিজেদের নাম লিখতে প্রস্তুত তৃণমূল বলে মনে করা হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যেই নন্দীগ্রামের মাটি কামড়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে শাসক দল। তবে গেরুয়া শিবিরও যে পিছিয়ে থাকার নয়, সে কথা মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!