এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার জোট ভাঙা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের কড়া সমালোচনা করলেন মোদী

এবার জোট ভাঙা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের কড়া সমালোচনা করলেন মোদী


ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের জোট শরিকদের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। আর এবার সম্পর্কের তিক্ততার ছায়া ছড়িয়ে পড়ল বিহারে। সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির জোট সঙ্গী জনতা দল ইউনাইটেড সহ-সভাপতি নির্বাচনের রণনীতিকার হিসেবে প্রসিদ্ধি প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিকে।

বিগত সময় একাধিকবার বিহারের জনতা দল ইউনাইটেডের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরোধিতায় ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এমনকি এই আইনকে সমর্থন জানানোয় নিজের দল জনতা দল ইউনাইটেডকে কার্যত প্রশ্ন ছুড়ে বসেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, “যে দলের আদর্শ গান্ধীজী, সেই দল কি করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন করতে পারে!” এই কারণে জেডিইউয়ের তরফ থেকে প্রশান্ত কিশোরকে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জনতা দল ইউনাইটেড জোট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জেডিইউ সহ সভাপতি ফিফটি-ফিফটি তত্ত্ব খারিজ করে দেন। আর এর ফলে কিছুটা কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিকে।

এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জনতা দল ইউনাইটেডের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে টুইট করে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি লেখেন, “যারা রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন কোনো আদর্শ সঙ্গে না নিয়ে, আর শুধু স্লোগান তৈরীর ব্যবসা করে রাজনৈতিক নেতা তৈরি করেন, তারা জোট ধর্মের কথা বলছেন! এতে বিরোধীদের সুবিধা হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কার্যত এই টুইটের মাধ্যমে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির বিরোধিতায় প্রশান্ত কিশোরের অবস্থানকে কটাক্ষ করেছেন, অন্যদিকে তেমনই জোট ধর্মের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন জনতা দল ইউনাইটেডকে। তবে আগামী 2020 সালের বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে আরও একবার ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জনতা দল ইউনাইটেড জোট লড়াই করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সুশীল মোদি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জেডিইউ সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং জনতা দল ইউনাইটেডের আসন সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “এখনও বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হয়নি।” তাহলে 2009 এবং 2015 সালের মতো করেই সমঝোতা করতে হবে। সেক্ষেত্রে জনতা দল ইউনাইটেড 142 টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি 101 টি আসনে লড়বে।

তিনি আরও যুক্ত করেন, সেই পরিসংখ্যানে 2015 সালের ফলাফল অনুযায়ী জনতা দল ইউনাইটেড পেয়েছিল 71 টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছিল 53 টি আসন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, প্রশান্ত কিশোরের আসন সমঝোতার এই নয়া নীতি নিয়ে সহমত নয় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব। তাছাড়াও আসন সমঝোতা নিয়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কথা বলার আগেই কি করে জনতা দল ইউনাইটেড সহ-সভাপতি মন্তব্য করলেন! তা নিয়েও ক্ষোভ জন্মেছে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে। আর সুশীল মোদির টুইটকে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!