প্রশান্ত কিশোরের দলকে বাগে আনতে নয়া কৌশল বিজেপির, পাল্টে যাবে সমস্ত সমীকরণ! জোর জল্পনা কলকাতা রাজ্য January 2, 2020 নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বর্তমানে উত্তপ্ত সারা ভারতবর্ষ। সংসদের দুই কক্ষে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়ে যাওয়ার পরই তাতে স্বাক্ষর করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যার ফলে সেই বিল এখন আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে নিজের আপত্তি জানিয়ে এসেছেন বিহারে বিজেপির জোটের শরিক জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। যা নিঃসন্দেহে বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়েছিল জেডিইউয়ের।পরবর্তীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে সম্মতি জানাতে দেখা গিয়েছিল জেডিইউয়ের সভাপতি নীতীশ কুমারকে। তবে এই দলের সহ-সভাপতি তথা বিশিষ্ট নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর যেভাবে বিরোধিতা করছে, তাতে পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে বলে মনে করেছিল একাংশ। তাই এই ব্যাপারে এবার সেই জেডিইউকে বাগে আনতে নয়া কৌশল গ্রহণ করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, আগামী 2020 সালে বিহার বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। আর তার আগে নীতীশ কুমারের দলকে গুরুত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সূত্রের খবর, এবার মোদী মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন জেডিইউয়ের রাজীব রঞ্জন এবং রামচন্দ্র প্রসাদ সিং। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোট শরিকদের সাথে যাতে কোনরূপ তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি না হয় এবং বিহারের ক্ষমতা যাতে তাদের হারাতে না হয়, তার জন্যই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জেডিইউয়ের এই দুই নেতাকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, বর্তমানে একের পর এক রাজ্যে বিজেপি তাদের ক্ষমতা হারাতে চলেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর যেভাবে নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপির বিরোধিতা করেছে, তাতে তাদের গুরুত্ব দিলে যে বিজেপির বিরোধিতা করা কিছুটা হলেও কমবে, তা উপলব্ধি করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোট যেন না ভাঙ্গে, তার জন্য মন্ত্রিসভায় দুই নেতাকে ঠাই দিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -