এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শীর্ষ নেতৃত্ব কটাক্ষ করলেও প্রশান্ত কিশোরের ভরসা বিজেপির পদ্ধতিতেই, বাড়ছে জল্পনা!

শীর্ষ নেতৃত্ব কটাক্ষ করলেও প্রশান্ত কিশোরের ভরসা বিজেপির পদ্ধতিতেই, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের কারণে বর্তমানে বিজেপি ভার্চুয়াল সিস্টেমের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে শুরু করেছে। লকডাউন থাকায় আইন অনুযায়ী কোনো রকম রাজনৈতিক সভা, সমিতি করা যাবে না। যার ফলে বিজেপির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু প্রথম থেকেই এই ভার্চুয়াল সভাকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের পক্ষ থেকে বিজেপির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করা হলেও, তৃণমূলেরই রাজনৈতিক রননীতিকার সেই ভার্চুয়াল সভার মধ্য দিয়েই দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন।

সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে এবার তৃণমূলের প্রচার বেশিরভাগটাই এই ভার্চুয়াল সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে হবে। তৃণমূলের একাংশ প্রশান্ত কিশোরের বিভিন্ন নীতিকে নিয়ে দলের অন্দরে কানাঘুষো কটাক্ষ করলেও, তিনি যে বিজেপির পদ্ধতিতেই সীলমোহর দিয়ে তৃণমূলকে চাঙ্গা করতে চান, তা এই ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্তেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ভার্চুয়াল সভার মধ্যে দিয়ে দলকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে দলের জেলা কমিটি থেকে শুরু করে ব্লক এবং পঞ্চায়েত পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করা হবে। কিন্তু কি কি বিষয় তুলে ধরে বিজেপিকে কোণঠাসা করবে রাজ্যের শাসক দল?

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক নিয়েও কেন্দ্র কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। তাই সেই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র রাজ্যের মানুষের পাশে আছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে দেবে ঘাসফুল শিবির। এদিন শিলিগুড়িতে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে এই ব্যাপারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “দলের থেকে নির্দেশ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ভূমিকার পাশাপাশি বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে প্রচার চালানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন পেট্রোপণ্যের দাম অর্ধেকের কম, গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। এর ফলেই প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে। উপরন্ত প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং ত্রাণ নিয়ে বাংলাকে বঞ্চনার নানা ফন্দি এঁটেছে বিজেপি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতির এই মন্তব্য থেকে কার্যত পরিষ্কার যে, তৃণমূল বিজেপির ভার্চুয়াল সভাকে যতই কটাক্ষ করুক না কেন, প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে এবার তৃণমূলকে সেই ভার্চুয়াল কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই দলের পক্ষে জনমতকে আনতে হচ্ছে। তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু বলেন, “তৃণমূলের তরফে প্রচার চলতেই পারে। তবে মানুষ কতটা বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেন্দ্র প্রচুর পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করলেও, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ছে না। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সময়মত টেস্ট হচ্ছে না। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার ব্যর্থ।”

তবে তৃণমূল যখন লকডাউনের মধ্যে বিজেপির পদ্ধতিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামছে, তখন বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা তাকে কটাক্ষ করে রাজ্যের শাসক দলকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। এখন গোটা বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দুই দলের প্রচারে শেষ পর্যন্ত কারা শেষ হাসি হাসে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!