এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশান্ত কিশোরকে “দালাল”বলে তুলোধোনা হেভিওয়েট সাংসদের, জোর শোরগোল

প্রশান্ত কিশোরকে “দালাল”বলে তুলোধোনা হেভিওয়েট সাংসদের, জোর শোরগোল

 

বর্তমানে কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্ব সেভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় না নামায়, তাদের কটাক্ষ করছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা তথা বাংলার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এই ব্যাপারে তুলোধোনা করেছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই শুভেন্দুবাবু মুর্শিদাবাদে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে “বিজেপির দোসর” বলে অভিহিত করেছেন। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেস, শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সেই অধীর চৌধুরী। সূত্রের খবর, রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদে যেভাবে জ্বলন্ত বিক্ষোভ ঘটেছে, সেই বিষয়ে মুখ খোলেন এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই মুর্শিদাবাদে একের পর এক স্টেশন জ্বালানোর যে বীভৎস ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। কোনো রকম প্রশাসনিক কর্তব্য পালন না করেই জেলাকে জ্বলতে সাহায্য করছে প্রশাসন। আর এটা তখনই সম্ভব, যখন এই নির্দেশ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আসে। বেছে বেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ফলে এটা স্পষ্ট, বিক্ষোভকারীদের মদত যুগিয়েছে তৃণমূল।”

অন্যদিকে সংসদে যেদিন এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়েছে, সেদিন তৃণমূলের 8 জন সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে বিজেপিকে 18 জন সাংসদ উপহার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তৃণমূলের 8 জন এমপি আইন প্রণয়নের সময় অনুপস্থিত থেকে আদতে মোদি সরকারকে সেই আইন প্রণয়নে সাহায্য করেছে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন অধীর চৌধুরীকে “বিজেপির এজেন্ট” বলে কটাক্ষ করছে তৃণমূল, ঠিক তখনই সংসদে সেই আইন পাশের দিন কেন তৃণমূলের আটজন সাংসদ অনুপস্থিত থাকলেন!

তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে পাল্টা তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন অধীর চৌধুরী। এদিকে এদিনের দলীয় কার্যালয় থেকে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে “ফালতু ছোকড়া” বলে অভিহিত করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, “কে প্রশান্ত কিশোর! ও তো দালাল! কখনও মোদির দালালি করে, কখনও নীতীশ কুমারের দালালি করে। এখন মমতার হয়ে দালালি করছে। কোথাকার কোন এক ফালতু ছোকরা।”

আর এরপরই তাকে আগাগোড়া বিদ্ধ করার রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন অধীর চৌধুরী। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বলেন, “এই মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের যে এমপি হামেশাই এসে বড় বড় কথা বলেন, তাকে বলব, তার বাপকে জিজ্ঞেস করতে, ভাইকে জিজ্ঞেস করতে, মোদীর কাছ থেকে কত টাকার বিনিময়ে তারা এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার জন্য পার্লামেন্টে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুপস্থিত থাকলেন!”

অর্থাৎ অধীর চৌধুরী শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারী যেভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে উপস্থিত থেকেছেন, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়ে এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন। সব মিলিয়ে গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শোরগোল ফেলে দিলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!