নেতা বিধায়কের ঘুম উড়য়ে ফের নয়া স্ট্রাটেজি নিলো প্রশান্ত কিশোর , জেনে নিন কলকাতা রাজ্য December 11, 2019 সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে 42 এ 42 এর স্লোগান তোলা তৃণমূলকে আটকে যেতে হয়েছে 22 টি আসনেই। যেখানে বিজেপি দুই থেকে তাদের 18 করে নিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘাড়ের ওপরে নিঃশ্বাস ফেলা গেরুয়া শিবির কিভাবে এতটা ভোট বৃদ্ধি করল, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল গোটা ঘাসফুল শিবির। আর দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সেই প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা পর্যালোচনা করে অসুখ বের করতে শুরু করেন। যেখানে দেখা যায়, একদিকে তৃণমূল নেতারা যেমন সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, ঠিক তেমনই দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এবারের ফলাফলকে অনেকটাই খারাপ করিয়ে দিয়েছে। যাকে অনেকটা সামাল দিয়ে উপনির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল। এবার লক্ষ্য পুরভোট আর ২০২১ এর বিধানসভা ভোট। আর তাই এবার নয়া লক্ষ্যে অবিচল থেকে লক্ষভেদ করতে নয়া পন্থা নিলেন প্রশান্ত কিশোর।’নমস্কার! আপনি এই এলাকায় মান্য ব্যাক্তি। আমরা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে কথা বলছি। কিছু বিষয়ে আপনার মতামত চাই।’ রাজ্য জুড়ে এইরকম অসংখ্য মানুষের কাছে এভাবেই ফোনে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সব জায়গায় যে ফোন যাচ্ছে তা নয়। কোথাও ফোনে, কোথাও বা মুখোমুখি। গোপনীয়তা বজায় রেখেই তাদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক (তৃণমূল) কেমন? এলাকায় কি সময় দেন তিনি? কাজ করেন? সাথেই জানতে চাওয়া হচ্ছে কাজের নিরিখে নিজের বিধায়ককে ১০-এ কত নম্বর দিতে চান তিনি। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে কেন পিকের টীম এইভাবে রাস্তায় নেমে খোঁজখবর চালাচ্ছেন?আর সেই নিয়ে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা গেছে এভাবেই বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।জেলায় জেলায় একই কেন্দ্রে একাধিক ‘সম্ভাব্য প্রার্থী’ সম্পর্কেও সংস্থার তরফে এই মত সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে কোথাও বিধায়ক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলে বিকল্প নাম জানতে চাওয়া হচ্ছে। অত্যান্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করলেও খবর ছড়াতে দেরি হয়নি। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ”বিধায়কদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য স্তরে স্থানীয় প্রশাসনের কাজকর্ম নিয়েও একেবারে দল-নিরপেক্ষ এলাকার মানুষের মত নিচ্ছে তারা।” আমাদের গল্পের বিভাগ পড়তে হলে ক্লিক করুন — অপরাজিতা প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২৯ টি আসনে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যাকে মেক আপ না দিতে পারলে কোনো মতেই ২০২১ এর বৈতরণী পার করতে পারবে না তৃণমূল। সাথেই যেগুলো হাতে আছে সেগুলোকেও সামলে রাখা প্রয়োজন। অন্যদিকে এই নিয়ে ফের তৃণমূলের নেতা বিধায়করাও রয়েছেন চিন্তায়।কেননা মুখে বললেও কতটা কাজ করেছেন তা এবার সরাসরি জানতে মানুষের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোরের টীম। ফলে জারিজুরি কিছু থাকলে তা একেবারে ধরা পরে যাবে। ফলে ঘুম পড়েছে নেতা , বিধায়কদেরও। ফলে নয়া পদ্ধতি জারি করে করে ফের তৃণমূলকে ভোট বৈতরণী পার করাতে পারেন কিনা প্রশান্ত কিশোর সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -