এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পারলেন না প্রশান্ত কিশোর? বিজেপিতে আসতে চেয়ে ১০৮ বিধায়ক চিঠি দিয়েছেন অমিত শাহকে

পারলেন না প্রশান্ত কিশোর? বিজেপিতে আসতে চেয়ে ১০৮ বিধায়ক চিঠি দিয়েছেন অমিত শাহকে


তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় বিজেপিতে আসতে চেয়ে বিজেপির সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়েছিলেন।বাদ সেধেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এ খবর কারোর অজানা নয়। কিন্তু আর এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এলো। আর তা হলো ” নিরাপত্তা পেলে বিজেপিতে যোগদান করতে চাই” এই মর্মে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নাকি চিঠিও দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। আর এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতি চর্চা।

তবে এদিন জানা গেল একা দেবশ্রী রায় নয় অমিত শাহ কে চিঠি দিয়েছেন 108 জন তৃণমূল বিধায়ক এদিন এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন দেবশ্রী রায়ের এই চিঠি সম্পর্কে মুকুল রায় বলেন, , “আমি তো যত দূর জানি অমিত শাহ ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি। শুধু দেবশ্রী কেন প্রায় ১১০ জন লোক চিঠি দিয়েছেন। সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেসও আছে।” এরপরই তাঁর আরও সংযোজন, “আমি তো আগেই তালিকা দেখিয়েছিলাম। তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে আসতে চাইছেন ১০৮ জন বিধায়ক।”

লোকসভা ভোটে মুখথুবড়ে পড়ার পর ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরকে দলের সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছিল ও বিরোধীদের দাবি ছিল ৪০০ কোটি টাকায় নাকি তার সঙ্গে এই ডিল হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক থাকায় তিনি এই কাজ করছেন কোন টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি।

এদিকে দেখা গেছে একের পর এক বিধায়ক নেতা নেত্রী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন। যদিও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই আবার ফিরে আসছেন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির হাতে থাকা অনেকগুলি পুরসভা। কিন্তু না আঁচালে বিশ্বাস নেই কেননা দলে আছি বলেও পরের দিনই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন এমন নেতা-নেত্রীর সংখ্যাও তৃণমূলে খুব একটা কম নয়। ফলে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘিরে ফের প্রশ্ন উঠছে তবে কি আর শেষ রক্ষা করতে পারলেন না প্রশান্ত কিশোর ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও তৃণমূলে তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে বারবার মুকুল রায় বলেন যে বিধায়ক তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে এবং যোগ দিচ্ছে কিন্তু কেউই যায়নি যে কজন গেছে তারা আবার ফিরে আসছে সুতরাং একথা মিথ্যা কিন্তু কয়েকদিন আগেই বিধান নগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তিনিও দাবি তুলেছেন অনেকেই বিজেপিতে যোগাযোগ রাখছেন এবং ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে তারা বিজেপিতে যোগ দেবেন।

আগেও মুকুল রায় দাবি করেছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসায় ভুয়ো কেস দেওয়া হচ্ছে ফলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু ২০২১ এর আগে ফের ফিরবেন। তবে জল মাপছেন অনেক নেতা নেত্রী একথা অস্বীকার করছেন না তৃণমূলের একাংশও , এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই তৃণমূলের অন্তরেও। যে কারণে তাদের উপর নজরদারিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর সেই নজরদারি চালাচ্ছিলেন স্বয়ং প্রশান্ত কিশোরের টীম এমনটাও তৃণমূলের একাংশের দাবি।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বাসুও দাবি করেছিলেন যে তাদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে অনেক তৃণমূল নেতা নেত্রী এবং বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন, হোয়াটসাপে যোগাযোগের কারণ তাদের ফোন ট্যাপ করা আছে। এমনকি তিনি তার তালিকা ও প্রমান ও দিতে পারবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। সময় হলেই তারা বিজেপিতে আসবেন এই দাবিও করেছিলেন। আর এখানেই প্রশ্ন তবে কি সেই মোক্ষম সময়ে অপেক্ষাতেই তৃণমূলের রয়ে গেছেন জল মাপা নেতা নেত্রীরা। সময় হলেই বিজেপির দিকে ঝুঁকবেন।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি শেষ রক্ষা করতে পারলেন না প্রশান্ত কিশোর? নাকি বিজেপি নেতারা এই সব ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন ?যদিও রাজনৈতিকমহলের দাবি বাংলার রাজনীতি আর অন্য রাজ্যের রাজনীতির মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। বাইরে থেকে এসে বাংলার রাজনীতি বোঝা এতটাসোজা নয়।কে সঙ্গে আছে আর কে নেই সাথে থেকেও বোঝা যায় না। যেমন তৃণমূল নেতা নেত্রীরা এতদিন সঙ্গে থেকেও বুঝতে পারছেন না কে রয়েছেন আর কে নেই। আর সেখানে প্রশান্ত কিশোর এক দিনেই কি বুঝে যাবেন ? কে ঠিক আর কে ভুল ?

যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি প্রশান্ত কিশোর সব জেনে বুঝেই কাজ করছেন। তিনিও বড় বড় রাজনীতিবিদদের থেকে কম যান না। অপার ভরসা তার উপরে। এখন দেখার শেষে কি হয় মুখ রক্ষা হয় নাকি ডাহা ফেল করেন প্রশান্ত কিশোর। আর বিজেপি নেতাদের দাবিই ঠিক হয়নাকি ভুল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!