এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রশান্ত কিশোর, সৌজন্যে হেভিওয়েট নেতা, জোর শোরগোল !

বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রশান্ত কিশোর, সৌজন্যে হেভিওয়েট নেতা, জোর শোরগোল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য জুড়ে চলছে ব্যাপক হারে দলবদলের পালা। বিশেষত তৃণমূল এবং বিজেপিতেই দেখা যাচ্ছে, দলবদল হচ্ছে। তবে  বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূলত এবারের দলবদল ক্রমাগত একমুখী হয়ে উঠেছে। তৃণমূল থেকে নেতা, অভিনেতা, সাংসদ, বিধায়ক বেরিয়ে গিয়ে সংগঠনের জোর বাড়াচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের ভিত্তিপ্রস্তর যে কিছুটা নাড়া পড়েছে, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহল। সংগঠনের জোড় বাড়াতে তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় ওরফে মিঠুদার কাছে।

সূত্রের খবর, স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর শনিবার এই কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে বিধানসভার টিকিট এবং পরবর্তীতে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, দেবপ্রসাদ রায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কোনোভাবেই ত্যাগ করবেননা। সেক্ষেত্রে ভোটের টিকিটের জন্য তো নয়ই। খুব স্বাভাবিকভাবে বাংলার বুকে যেভাবে রাজনৈতিক দলবদল চলছে, সেখানে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দেখিয়ে দিলেন, নিজের দলের প্রতি কিভাবে অনুগত থাকা যায়। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা দেবপ্রসাদ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তার কাছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল এবং তিনি না করে দিয়েছেন।

কারণ তিনি বরাবর কংগ্রেসের সঙ্গেই থেকেছেন এবং আগামীতেও তাই থাকতে চান। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে পিকের সঙ্গে দেখা করার তাহলে কি কারণ ছিল? সেই উত্তর দিয়েছেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। তিনি জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোরের নাম তিনি এতটাই বেশি শুনেছেন, যে তাঁকে দেখার ইচ্ছাকে আর তিনি দমন করতে পারেননি। তাই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বাম-কংগ্রেস জোটের হয়েই এবারের বিধানসভায় তিনি কাজ করবেন। দেবপ্রসাদ রায়কে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন,  হয়ত অবস্থানগত বদল হতে পারে তাঁর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তিনি একটি প্ররোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের তরফ থেকে দেবপ্রসাদ রায়ের কাছে একটি প্রস্তাব এসেছিল। দেবপ্রসাদ রায় জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএম সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় এবারের নির্বাচনে রীতিমতো প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, যদি দেবপ্রসাদ রায় নির্বাচনে দাঁড়ান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে। এ ব্যাপারে সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে যখন দেবপ্রসাদ রায় জানান, তখন তিনি নীরব থাকেন।

যদিও পরবর্তীতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। এতকিছুর পরেও তাহলে তিনি কেন জোট ছেড়ে গেলেন না? সেক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, যেভাবে দেবপ্রসাদ রায়ের কাছে প্রস্তাব এসেছিল, তা যথেষ্ট অবমাননাকর। তাই তিনি প্রশান্ত কিশোরের প্রস্তাবে রাজি হননি। প্রসঙ্গত গত 57 বছর ধরে দেবপ্রসাদ রায় কংগ্রেস রাজনীতি করে চলেছেন। 2011 থেকে 2016 পর্যন্ত তিনি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক ছিলেন। তার আগে 2006 থেকে 2011 পর্যন্ত তিনি জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে ছিলেন।

জানা গেছে,  2016 সালেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেবপ্রসাদ রায়ের কাছে প্রস্তাব এসেছিল তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার। কিন্তু তখনও দেবপ্রসাদ রায় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দলবদলের প্রাক্কালে যেভাবে দেবপ্রসাদ রায় রাজ্যের শাসকদলের লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন প্রশান্ত কিশোরকে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে বামেদের যে কিছুটা সম্পর্কের অবনতি হয়েছে সে কথা প্রকাশ পেয়েছে। তবে আপাতত তৃণমূলের জন্য যে তিনি তার দরজা বন্ধ করে দিলেন, সে কথা বলাইবাহুল্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!