এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশান্ত কিশোরকে ‘ডজ’ করতে যোগদান নিয়ে বিজেপির নতুন ‘মাস্টারপ্ল্যান’? বাড়ছে জল্পনা

প্রশান্ত কিশোরকে ‘ডজ’ করতে যোগদান নিয়ে বিজেপির নতুন ‘মাস্টারপ্ল্যান’? বাড়ছে জল্পনা


দিল্লিতে নয় – এবার তৃণমূল, কংগ্রেস বা সিপিআইএম থেকে কেউ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে রাজ্যেই যোগ দিতে হবে। রাজ্য বিজেপি-র তরফে জারি করা হল এই নির্দেশিকা। আর এই নির্দেশিকা ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে এত দিন তো রাজ্যের বাইরে দিল্লিতে গিয়ে যোগ দিচ্ছিলেন দলবদল করতে চাওয়া নেতা-নেত্রীরা! তাহলে এখন কি এমন হলো যে দিল্লি ছেড়ে বাংলার সদর দপ্তরে হবে যোগদান পর্ব?

একাংশের মতে বিজেপির এই সিদ্ধান্তের পিছনেও রয়েছে তৃণমূল! তাঁদের দাবি এদিন প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিধায়কদের উদেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন, যে দল ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে রাজ্য বা দেশের বাইরে যাওয়া চলবে না জনপ্রতিনিধিদের। যেতে হলে নিতে হবে আগাম অনুমতি। আর দলনেত্রীর এই নির্দেশিকার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহলে।

দলছুট বিধায়কদের রুখতে ও তাঁদের উপর নজরদারি রাখতেই কি এই পরিকল্পনা? কেননা অসমর্থিত এক সূত্র অনুযায়ী, দলে ভাঙন রুখতে ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোর এই ধরনের দাওয়াই দিয়ে রাখতে পারেন। যা শুধু বিধায়কদের উপর বলে চালানো হলেও নেতা নেত্রীরাও এর আওতায় পড়ছেন বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সেক্ষত্রে, দলবদল করতে ইচ্ছুক নেতা-নেত্রীরা আটকে যেতে পারতেন। কেননা বিজেপির সব যোগদানই হয় দিল্লিতে সদর দপ্তরে। এদিকে, গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, তৃণমূল ছেড়ে বহু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা তাঁদের দলে নাকি নাম লেখাতে ইচ্ছুক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর পরেই বিজেপির এই সিদ্ধান্ত, ফলে দুইয়ে দুইয়ে চার করতে বেশি সময় নিচ্ছেন না বিশ্লেষকমহল। তাঁদের মতে, বাইরে যেহেতু বিধায়কদের যাওয়াটা একটু অসুবিধার, তাই বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদানও কিছুটা থমকে যেতে পারে। ফলে দিল্লি না গিয়ে এখানে যোগদান হলে অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে। আর তাই দিল্লির কেন্দ্রীয় সদর দপ্তর থেকে যোগদান পর্ব কলকাতায় রাজ্য সদর দপ্তরে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত। কেননা রাজ্যের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি চললেও, খোদ কলকাতার বুকে তা আটকানো সহজ হবে না।

তবে, অন্য একটি অংশের মতে, দিল্লি নিয়ে যাওয়া, যোগদানকারীদের সেখানে রাখা, আবার নিয়ে আসা সব কিছু বড় সময় ও খরচ সাপেক্ষ। তার থেকেও বড় কথা, দিল্লিতে যোগদানকারী নেতারা সাধারণত থাকেন মুকুল রায়ের বাংলোতে, যার ঠিক পাশেই তৃণমূল সাংসদদের বাংলো। ফলে, একবার দিল্লি পৌঁছালেই – কে দলবদল করছেন, তার গোপনীয়তা রক্ষা করা খুব মুশকিল হয়ে যায়। এমনকি দিল্লি পৌঁছনোর পর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের আগে পর্যন্ত বিপক্ষ শিবির যথেষ্ট সময় পেয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দলবদল আটকাতে।

তাছাড়া বাংলার যোগদান বাংলার বুকে হলে তার প্রভাব পড়বে অনেক বেশি বলেও মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। আর তৃণমূলের সাথে লড়াইটা যেহেতু বাংলায়, তাই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের হয়ে ময়দানে নামতেই, খেলা আরো জমজমাট হচ্ছে – কিন্তু, নবান্নকে পাখির চোখ করে ফেলা গেরুয়া শিবির প্রশান্ত কিশোরের নতুন নতুন রণনীতির পাল্টা অ্যান্টিডোট বার করে লড়াইয়ের ময়দান আরও জমজমাট করতে চাইছে। সুতরাং, তৃণমূল ও বিজেপির একে অপরকে মাত দিতে রাজনৈতিক চাল ও পাল্টা চালে বঙ্গ রাজনীতি যে ক্রমশ জমজমাট হচ্ছে সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!