প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত তিনি। একসময় স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে মুখ্যসচিব করা হয়। তবে এখন অবসর গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু অবসরগ্রহণের পরেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে রাজ্য শিল্পোন্নয়নের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজীব সিনহাকে। আর শিল্পোন্নয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই এবার রাজ্যে শিল্পের জোয়ার আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন রাজীববাবু।

যার ফলে অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে শিল্প নেই, এই সমস্ত অভিযোগ বিরোধীদের এবারের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হতে চলেছে। তাই এই ইস্যুকে কার্যত দমিয়ে দিতে রাজীব সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সারথি হয়ে উঠতে পারেন বলেই মনে করছেন একাংশ। জানা গেছে, এবার শিল্পপতিদের হাতে দ্রুত জমি তুলে দিতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। মূলত সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের মাধ্যমেই এবার শিল্পপতিদের হাতে জমি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে শিল্পপতিদের আর জমি হাতে পেতে বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করছেন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সব ধরনের শিল্পের জন্য এক জায়গা থেকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। যার ফলে জমি পেতে অনেকটাই সময় লাগত শিল্পপতিদের। কিন্তু এবার বিষয়টিকে সরলীকরণ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা বলেন, “আর শিল্পপতিদের জমি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। নতুন নিয়মে দ্রুত জমি হাতে পাবেন শিল্পপতিরা। ফলে দ্রুত তারা কাজ শুরু করতে পারবেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজীব সিনহা দায়িত্ব নেওয়ার পরই শিল্পের ক্ষেত্রে শিল্পপতিদের সুবিধা দিতেই নতুন দরজা খুলে গেল।

অনেকে এটাও বলতে শুরু করেছেন, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত চাপের। দিনকে দিন রাজ্যে তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে তৃণমূলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনুন্নয়ন সহ শিল্প না হওয়া, এই সমস্ত অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাই সেই দিককে মান্যতা দিয়ে এবার রাজীব সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সারথী হয়ে শিল্পের নতুন দরজা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।