এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > প্রশাসনিক গাফিলতির কথা সামনে আনতেই এবার হাইকোর্টের বিচারকের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ, বিতর্ক তুঙ্গে

প্রশাসনিক গাফিলতির কথা সামনে আনতেই এবার হাইকোর্টের বিচারকের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টকরোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি সমস্ত কাজ সমাধা করা হচ্ছে। আইনের ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল ব্যবস্থা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছে। কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে বলে একাধিক মামলাকারী এবং আইনজীবিদের একাংশ অভিযোগ করছেন। আর এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কার্যত তিনি একটি নির্দেশ দিয়েছেন, এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল শুনানির পরিকাঠামোর অভাব বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরী করছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন তোলার পরে তাঁর অজ্ঞাতে মামলা অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আর এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তীব্র বিতর্ক। কার্যত ভার্চুয়াল শুনানির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন উচ্চশ্রেণীর আইনজীবী এবং মামলাকারী একাধিপত্য বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল শুনানির ক্ষেত্রে বৈষম্য সামনে সামনে আসছে। এবং এই বৈষম্য সংবিধানের সাম্যের অধিকারের পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। অন্যদিকে অধিকাংশ আইনজীবী বিচারপতি ভট্টাচার্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তাঁদের মতে, এমন বহু মামলাকারী রয়েছেন, যারা ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দিতে পারেননা পরিকাঠামোর অভাবে। এমনকি আদালতে যে পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, সেখানেও তাঁরা আসতে পারেননা।

অন্যদিকে অনেক আইনজীবী পারিশ্রমিক কম করে আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের সাহায্য করেন। এই পরিস্থিতিতে সেইসব আইনজীবীরা ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারছেননা। তাই আর্থিকভাবে অনগ্রসররা সমানভাবে আইনি বিচার পাচ্ছেননা বলে শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটায় যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হচ্ছে। আর এই প্রযুক্তিগত দুর্দশা নিয়ে গত শুক্রবার একটি মামলার শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিককে শোকজ করেছিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। কিন্তু তারপরেই বিচারপতি ভট্টাচার্যের এজলাস থেকে মামলা সরে যায় তাঁরই অজ্ঞাতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিচারপতি ভট্টাচার্য ইন্টারনেট ব্যবস্থার ব্যাঘাত ঘটার কারণ জানতে চাইলে হাইকোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্পিড বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রশাসনের এই বক্তব্য উল্লেখ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসন স্পিড বাড়ানোর কথা বলে আসছে কিন্তু কার্যত তা নিয়ে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাই বিষয়টি এবার দ্রুত বাস্তবায়িত হলে মামলাকারীদের সমস্যা মিটবে। অন্যদিকে আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, প্রশাসনিক গাফিলতির কথা যেভাবে সর্বসমক্ষে নিয়ে এসেছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।

কার্যত মনে করা হচ্ছে তিনি প্রশাসনিক গাফিলতির বিষয়টিকে কোনরকম লুকোছাপা করতে চাননা। তাই বিষয়টি সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে এই ঘটনা ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি মামলা বিচারপতি ভট্টাচার্যের এজলাস থেকে সরে যাওয়ার চাপান উতোর বেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনক গাফিলতি এভাবে সর্বসমক্ষে এনে কার্যত প্রশাসনের শ্যেনদৃষ্টিতে পড়েছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য্য। আপাতত এই ঘটনার মোড় কোনদিকে নেয় সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!