এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূলের কর্মী তালিকা গোঁজামিলে ভরা! ঘুম উড়েছে পিকের! অবস্থা সামাল দিতে আসরে খোদ অভিষেক!

তৃণমূলের কর্মী তালিকা গোঁজামিলে ভরা! ঘুম উড়েছে পিকের! অবস্থা সামাল দিতে আসরে খোদ অভিষেক!


মানুষ অভ্যাসের দাস। অলস মস্তিষ্ক নিয়ে পথ চলতে চলতে যদি একবারটি সাফল্য আসে, তাহলে সেই মানুষ পরবর্তীতে আর পরিশ্রম করতে চায় না। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও অবস্থাটা ঠিক এরকমই। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলায় 22 টি আসন পেয়েছিল। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি দখল করেছিল 18 টি আসন। কিন্তু ফলাফল পর্যালোচনায় উঠে আসে তৃণমূল নেতাদের সাংগঠনিক কাজে ফাকিবাজি, দুর্নীতি এবং জনসংযোগের অভাবের মতো কারণ।

যার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় করতে দলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে মনোযোগী হন। ইতিমধ্যেই “দিদিকে বলো” কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে এই কর্মসূচির মাঝেই রাজ্যে সদ্যসমাপ্ত 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল সাফল্য পাওয়ায় এবার ফের তৃণমূল নেতৃত্বের কাজে চরম ফাঁকিবাজর ঘটনা নজরে এল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।

বিধানসভা উপনির্বাচন দিয়ে যে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হবে না, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারলেও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব থেকে কর্মীসমর্থকরা বুঝতে পারছেন না। আর তার ফলেই দলের নির্দেশ অমান্য করে কাজে ফাঁকি দিতে দেখা যাচ্ছে তাদের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার উত্তর 24 পরগনা জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে “দিদিকে বলো” কর্মসূচির পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর মত নেতৃত্বরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই নজরে আসে যে তপশিলি জাতিভুক্ত কর্মীদের তালিকাঢ় ব্যাপক গোজামিল রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে নেতারা ফাঁকিবাজি দিয়ে নিজের বাড়ির কাজের লোকেদের নাম সেই তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এদিন এই ব্যাপারে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধরে নিন আর 100 দিন বাদে নির্বাচন। তাহলে যেভাবে কর্মতৎপর হতে হয়, সেভাবে কাজে নেমে পড়ুন। কিছু এলাকায় দিদিকে বলো কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন হয়নি। তাই চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশি করে এই কর্মসূচির আয়োজন সেরে ফেলতে হবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিতে দেখা যায় ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরকেও। তিনি বলেন, “আপনারা নিজের সম্পদ, বৈভব প্রদর্শন করছেন কেন! আপনাদের কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটাতে বলা হয়েছে। অনেকে নাকি সেখানে ফোন করে আগে খোঁজ নিয়ে নিচ্ছেন, সেই বাড়ির অবস্থা কিরকম! এসব বাছবিচার করা চলবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আশঙ্কা কিছুটা হলেও সত্যি‌। কেননা প্রথমেই বলা হয়েছিল, মানুষ অভ্যাসের দাস। সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর তাদের নেতা থেকে কর্মীসমর্থকরা ক্ষমতায় ডুবে পড়েছিলেন।

সেইভাবে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ রক্ষা করতে দেখা যাচ্ছিল না তাদের। তাই প্রশান্ত কিশোর জনসংযোগের এই কড়া টনিক দেওয়ার পর তৃণমূলের খাট-পালঙ্কে শুয়ে থাকা নেতারা যে সাধারণ মানুষের বাড়ির দাওয়ায় শুতে অনেকটাই সংকোচ বোধ করবেন, তা বুঝতে পেরেছিলেন ভোটগুরু। আর তাই তলায় তলায় এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে কিছু প্রমাণ পেয়ে সেই সমস্ত নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, লোক দেখানো নয়। মন দিয়ে দলের কর্মসূচি পালন করতে হবে। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব থেকে প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কড়া বার্তা দিলেও তা কতটা সুষ্ঠুভাবে পালন হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!