এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রাথমিক নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্যের শিক্ষা দফতর, জনে নিন

প্রাথমিক নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্যের শিক্ষা দফতর, জনে নিন


এবার রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ভোলবদল হতে চলেছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। ইতিমধ্যে 2009 শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম শ্রেণীর স্থান ছিল উচ্চ প্রাথমিকে। কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার প্রাথমিক স্তর এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পরিকাঠামো ছিলনা এতদিন। কিন্তু এবার কেন্দ্র ও অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য।

এবার প্রাথমিক শিক্ষা মাধ্যম নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কয়েক মাস আগে থেকেই প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা চলছিল। কিন্তু পরিকল্পনামতো এবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্কুলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অর্থাৎ 2020 সাল থেকে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। তবে সূত্রের খবর, যেসব স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার মত পরিকাঠামো আছে, প্রাথমিকভাবে সেসব স্কুলে চালু করা হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিভাগ।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কার্তিক মান্না জানিয়েছেন, ‘যে স্কুলগুলির পরিকাঠামো রয়েছে সেই স্কুলগুলি আবেদন করলে তাদের প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে অন্য স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তিকরণ করা হবে।’ যদিও প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বহুদিনের।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘যেসব স্কুলে পরিকাঠামো আছে বর্তমানে যেসব স্কুলে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণী চালু করা হবে। আর যাদের পরিকাঠামো নেই তাদের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে চালু করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর চেষ্টা করছে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক যুক্ত করে প্রাথমিককে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী করার। বর্তমানে প্রায় 57 হাজার প্রাথমিক স্কুল রয়েছে রাজ‍্যে। তার মধ্যে প্রায় 2000 স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী আছে। বাকি যেসব স্কুলের পরিকাঠামো আছে বর্তমানে সেই সব স্কুলে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণী চালু করা হবে। আর যাদের পরিকাঠামো নেই তাদের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে চালু করা হবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রশ্ন উঠেছে, পঞ্চম শ্রেণি কিভাবে ধাপে ধাপে চালু হবে? এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কার্তিক মান্না জানিয়েছেন, ‘যাদের পরিকাঠামো আছে তারা পারবে। তারা আবেদন করবে। আবেদনের পরে দেখে নেওয়া হবে পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা। পরিকাঠামো ঠিকঠাক থাকলে আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ 2020 সালের জানুয়ারি থেকেই আবেদনকারী স্কুলগুলিতে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালু করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হবে।’

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শিক্ষার অধিকার আইনে দেশের সব রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছিল আগেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, মনিপুরের মত কয়েকটি রাজ্যে পরিকাঠামো না থাকার ফলে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ধামাচাপা ছিল। তবে পঞ্চম শ্রেণীকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছিলই সরকারি মাধ্যমে।

বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করার মতন পরিকাঠামো তৈরি করতে গেলে বিপুল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। তাই প্রাথমিকভাবে রাজ্যের সব প্রাথমিক স্কুলে নয়। শুধুমাত্র পরিকাঠামোযুক্ত প্রাথমিক স্কুল গুলিতেই পঞ্চম শ্রেণী চালু হতে চলেছে। পরে ধাপে ধাপে সমস্ত প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করে সেখানে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

পঞ্চম শ্রেণীকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান বাধা পরিকাঠামোর ঘাটতি। যার মধ্যে সবথেকে উপরে আছে শিক্ষক-শিক্ষিকার ঘাটতি। পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে কম করে আরো 50 হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে রাজ‍্যে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও সময়োপযোগী করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তিকরণ হতে চলেছে। আপাতত রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের লক্ষ্য, সমস্ত রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাহিদা পূরণ করা। সম্পূর্ণ বিষয়টির ওপর নজর রাখবে রাজ্যের শিক্ষা মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!