এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপিং সংস্থা থেকে কেনাকাটা করছেন? সাবধান হন আজই !প্রতারিত হতে পারেন এনে মতোই !

প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপিং সংস্থা থেকে কেনাকাটা করছেন? সাবধান হন আজই !প্রতারিত হতে পারেন এনে মতোই !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন শপিং সংস্থাগুলি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তার ওপর করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অনলাইন শপিংয়ের উপর ঝোঁক বেড়েছে। ঘরে বসে এখন মানুষ যেকোনো জিনিস হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য যেকোনো বিষয়ে অনলাইনের ওপরেই নির্ভর করছে বেশি। তবে এই নির্ভরতা কখনো কখনো ডেকে আনছে বড় বিপদ। যেমন- খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর চৌধুরীর সাথে হল। প্রতিষ্ঠিত অনলাইন সংস্থার হাত ধরে তিনি খোয়ালেন প্রায় এক লাখ টাকা।

সামনেই আসছে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। কিন্তু এবছর অন্যান্য বছরের মতো পরিস্থিতি নয়, করোনা আবহে বাইরে বেরোনোর মত সাহস অনেকেই দেখাতে পারছেননা। সে জায়গায় অনেক গ্রাহকই নির্ভর করছেন অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলির ওপর। এবং এই অনলাইন সংস্থাগুলিও সুযোগ বুঝে বিভিন্ন লোভনীয় অফার নিয়ে আসছে। সম্প্রতি খড়গপুর মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর চৌধুরী অভিনব কায়দায় খুইয়েছেন তার অ্যাকাউন্টের 99 হাজার 800 টাকা।

সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর টাউন থানায় তিনি এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বটে, কিন্তু তাতে ফল কিছুই হয়নি। ওষুধ ব্যবসায়ী দীপঙ্কর চৌধুরী সম্প্রতি তাঁর মেয়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপিং সংস্থা থেকে একটি জামা কেনেন। জামাটি ছোট হওয়ার আবারও তিনি জামা বদলের আবেদন করেন সংস্থার কাছে। সংস্থার পক্ষ থেকে ডেলিভারি বয় এসে জামাটি নিতে অস্বীকার করে, কারণ জামাটির ট্যাগ ছেঁড়া ছিল। দীপঙ্করবাবুকে গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে যোগাযোগের পরামর্শ দেয় ওই ডেলিভারি বয়। এরপর দীপঙ্কর বাবু গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে তাঁকে সেখান থেকে একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে বলা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেই অ্যাপ ইন্সটল করলে অ্যাপের মাধ্যমে দফায় দফায় তাঁর ব্যাংক থেকে 99 হাজার 800 টাকা কেটে যায়। কিছুদিন আগেই সুভাষপল্লীর বাসিন্দা আর এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী রাকেশ সেন একটি বিখ্যাত অনলাইন শপিং সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্য গরমিলের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিনা অনুমতিতে তাঁর বাড়িতে কয়েক লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য জানা যায়, রাকেশ সেনের মোবাইল নাম্বার বদলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার সূত্রে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, যেভাবে অনলাইন প্রতারণা চক্রগুলি দিনদিন সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে সাধারণ মানুষকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

বিভিন্নভাবে অনলাইন সংস্থাগুলি এখন প্রতারণার বিভিন্ন পথ বার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠিত অনলাইন সংস্থায় কেনাকাটা করলেও কোনো অনামী অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করলে গ্রাহকদের কিন্তু বিশাল অংকের টাকার ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং সেক্ষেত্রে সচেতনতা এবং সর্তকতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। কারণ জালিয়াতি চক্রান্তকারীরাও পিছিয়ে থাকার নয়, তাঁরাও নিত্যদিন নতুন নতুন ফিকির বার করছে এবং যা পুলিশের বুঝে উঠতে উঠতে অনেকটাই সময় চলে যাচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!