এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী বাড়ির সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়লেন! এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য!

প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী বাড়ির সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়লেন! এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার ঠিক এরকমই একটি ঘটনা ঘটলো উত্তর 24 পরগনার ইছাপুর মায়াপল্লী এলাকায়। রাতের অন্ধকারে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন বলে জানা গেছে। আর এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। কে বা কারা গুলি করল সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। উত্তর বারাকপুর পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর চম্পা দাস দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন বলে জানা গেছে। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের জন্য বলে খবর। ইতিমধ্যে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মায়াপল্লীতে নিজের বাড়ির পাশের দলীয় কার্যালয় থেকে চম্পা দাস ফিরছিলেন নিজের ঘরে।

সে সময় কেউ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে তাঁর পায়ে এবং তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। সাথে সাথেই তাঁকে ব্যারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল উত্তর 24 পরগনা জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, চম্পা দাস নির্দল প্রার্থী হিসেবে 2015 সালের পৌরসভা নির্বাচনে উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভা থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে যেতেন এবং তার পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিজেপির কিছু নেতা চম্পা দাসকে তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর দিয়েছিলেন। চম্পা রাজি না হওয়ায় বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এধরনের হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী। এর পরেই তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, দিলীপ ঘোষ যেভাবে হিংসার রাজনীতি ছড়াচ্ছে রাজ্যজুড়ে তারই ফলস্বরূপ এই ঘটনা। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ দাবি করেছেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে চম্পা দাসের স্বামী গোপাল দাস একসময় ইছাপুরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল। সুতরাং, পুরনো শত্রুতার জেরে চম্পা দাসের ওপর হামলা হয়েছে কিনা সেকথাও ভেবে দেখার বিষয়য়। জানা গেছে, এই ঘটনায় পুরো এলাকা রীতিমতো থমথমে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও এখনো পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা অধরাই। তবে এই ঘটনা ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপাতত পুলিশি তদন্তের উপরেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!