এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বড়োসড়ো অভিযোগে অভিযুক্ত, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বড়োসড়ো অভিযোগে অভিযুক্ত, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সামনে আসছে পুরসভা নির্বাচন, আর তার আগেই বড়োসড়ো অস্বস্তি তৃণমূল শিবিরে। এবার আগ্নেয়াস্ত্র সমেত এক তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হলেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছে। বিশেষ করে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে একের পর এক কটাক্ষ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বীরভূম থেকে ট্রেনে করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের এক যুব তৃণমূল নেতা যখন আসছিলেন, তখন খবর পেয়ে স্টেশন থেকে সেই যুব তৃণমূল নেতা এবং তাঁর এক সহযোগিকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃত দুজনকে বর্ধমান আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালতের তরফ থেকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ঘাসফুল শিবিরের যুব তৃণমূল নেতার কুকীর্তির খবর প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে বসে দল। জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃণমূলের সঙ্গে অভিযুক্ত কোনোভাবেই জড়িত নয়। অন্যদিকে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান শেখ ওরফে কাজল শেখ এবং উত্তম কুমার পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র কেনা বেচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিহার এবং বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তারা পাচার করতেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কাজল শেখ তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা বলে পরিচিত এলাকায়। কার্যত সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন দুই অভিযুক্ত অস্ত্রশস্ত্রসমেত বীরভূম থেকে রামপুরহাট বর্ধমান লোকালে আসছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোমবার বিকেলে এই দুই অভিযুক্ত নোওয়াদার ঢাল স্টেশনে নামবে। এই খবর পাওয়ার পরেই সিআইডি তোড়জোড় শুরু করে অভিযুক্তকে ধরার। সেই অনুযায়ী সিআইডির একটি দল নোওয়াদার ঢাল স্টেশনে সাদা পোশাকে উপস্থিত হয়। বিকেল চারটে কুড়ি নাগাদ উপরিউক্ত স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে অভিযুক্তরা পা দেওয়া মাত্রই সিআইডির দলটি কাজল এবং উত্তমকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। এবং তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।

কার্যত এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক শ্যামল রায় জানিয়েছেন, তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছে গুলি বন্দুক পাওয়া যাবে এবং পুলিশ তৎপর হলে তাঁরা ধরা পড়বেন অন্যদিকে আউসগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শেখ সালেক রহমান পাল্টা দাবি  করেছেন, অভিযুক্তরা কোনভাবেই দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আগে তারা দল করেছেন বটে কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক বর্তমানে নেই। ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুরনির্বাচনের আগে এ ধরনের একটি ঘটনা তৃণমূল শিবিরকে যে চাপের মুখে ফেলেছে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। আপাতত ঘটনার অভিমুখ কোন দিকে এগোয় সেটাই থাকবে নজরে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!