প্রয়াত সিপিএম নেতার কন্যার লেখা তৃণমূল মুখপত্রে, বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা কলকাতা তৃণমূল বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য August 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বামেদের মহলে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাসের তৃণমূল মুখপত্রে কলম ধরা নিয়ে শুধু বামেদের মহলেই নয়, এই আলোচনা কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে সর্বত্র চলেছে। সম্প্রতি তৃণমূলের জাগো বাংলায় একটি ধারাবাহিক নিবন্ধ লিখছিলেন, সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস, যে লেখার শেষ কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে আজ। অন্যদিকে জাগো বাংলার অজন্তা বিশ্বাসের কলম ধরা নিয়ে দলের অন্দরে তুমুল সমালোচনা হলেও প্রকাশ্যে কিন্তু বাম নেতারা কোন কথাই বলছেন না। ইতিমধ্যে এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া তিনি দেবেন না। অন্যদিকে সর্মথকরাও কিন্তু চুপ করে নেই। তাঁরা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছেন। কার্যত বিভিন্ন জায়গায় হাওয়াই চটি ছবি দিয়ে লেখা হচ্ছে অজন্তা হাওয়াই চটি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অজন্তা বিশ্বাসকে জড়িয়ে যে এই মন্তব্য করা হচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় অজন্তা বিশ্বাসের ধারাবাহিক লেখা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। কার্যত রাজ্যে পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনিল বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি অজন্তাকেও দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। অন্যদিকে জাগো বাংলায় কলম ধরা নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন অজন্তা বিশ্বাসের কাছে জবাব চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক বামঘনিষ্ঠ সুস্নাত দাস জানিয়েছেন, শিক্ষকদের সংগঠনের যেকোনো সদস্য যেকোনো জায়গায় লিখতে পারেন নিজ অধিকারে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেখানে জবাবদিহি চাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। বর্তমানে সিপিএমের অন্দরে একটি চর্চার বিষয়, অজন্তা বিশ্বাস হঠাৎ তৃণমূলের মুখপত্রে কেন লিখতে গেলেন? কিন্তু প্রথম দিন থেকেই সিপিএমের বেশকিছু নেতা বলে চলেছেন, অজন্তা তাঁর লেখার নিবন্ধ একজন সাংবাদিককে দিয়েছিলেন, সেটি তারপর সাংবাদিকের হাত ধরে জাগো বাংলায় পৌঁছে যায়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই যুক্তি ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছে। অজন্তা বিশ্বাসের কলমে উঠে এসেছে মমতার স্তুতি। কিন্তু এর পেছনে আসলে কি কারণ, সেটাই এখন বুঝতে চাইছে বামেরা। কার্যত বামমনোভাবাপন্ন অজন্তা বিশ্বাসের তৃণমূল মুখপত্রে কলম ধরা নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে সিপিএম। অন্যদিকে তৃণমূল নেতার প্রশংসাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, বামেদের অস্বস্তিতে পড়া তাঁদের কাছে কোথাও একটা স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে অজন্তা বিশ্বাসের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে আগামী দিনে তাঁকে ঘিরে কোন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার। আপনার মতামত জানান -