এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উপাচার্যের সঙ্গে পরোক্ষে সংঘাত বাড়িয়ে প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারীদের পাশে শিক্ষামন্ত্রী

উপাচার্যের সঙ্গে পরোক্ষে সংঘাত বাড়িয়ে প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারীদের পাশে শিক্ষামন্ত্রী


এবার হিন্দু হোস্টেল নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে পরোক্ষে উপাচার্যর প্রতিই চাপ বাড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হোস্টেলকে বাসযোগ্য করে তোলার দাবিতে পড়ুয়াদের অবস্থান, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ক্যাম্পাস।

এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার সম্পর্ক এতটাই অবনতির আকার ধারণ করেছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানও শেষ পর্যন্ত নন্দনের প্রেক্ষাগৃহে করতে বাধ্য হয়েছিলেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। যা রাজ্যের শাসক দলকে প্রবল বিড়ম্বনায় ফেলেছিল। এমনকি এই হোস্টেলের সমস্যার সমাধান করতে কিছুদিন আগেই আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সাথে একটি বৈঠকে বসেন সেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আর এই বৈঠকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। পাল্টা উপাচার্য এই হিন্দু হোস্টের সংস্কারের কাজে দেরির জন্য রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের ঘাড়েই সমস্ত দোষা চাপিয়ে দিয়েছেন। আর রাজ্য বনাম উপাচার্যের এই দড়ি টানাটানিতে সম্প্রতি সেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, সোমবার সেই রিপোর্ট পেয়ে তা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু কি আছে সেই রিপোর্টে? জানা গেছে, রিপোর্টের ব্যাপারে এখনও সমস্ত দিক স্পষ্ট না হলেও এদিন সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়াদেরই পাশে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রদের থাকার জায়গা একটা জরুরী বিষয়। কেন এই ভাবে তা এতদিন ফেলে রাখা হলো?”

পাশাপাশি ঘটনায় ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন না করলেই ভালো হত বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে নৈতিকভাবে ছাত্র ছাত্রীদের এই আন্দোলনকে শিক্ষামন্ত্রীর তরফে সমর্থন জানালে খুশি সেই প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারী পড়ুয়ারাও। এদিন পড়ুয়াদের একাংশ জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী তাদের ডাকলে তারা আলোচনায় প্রস্তুত। তবে এখন এই হিন্দু হোস্টেল সংস্কারের জন্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কর্তৃপক্ষ ঠিক কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!