এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়! জানুন বিস্তারিত

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। সেইসঙ্গে নতুন করে কিভাবে শিক্ষাবর্ষ শুরু করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা চলেছে শিক্ষামহলে। যদিও ইতিমধ্যেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া চলেছিল অনলাইনে, তবে এবার পড়াশুনা শুরু করার পথেই এগোতে চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর সেখানে সামনে এসেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষের কথা। জানা যাচ্ছে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক অ্যাক্টিভিটি ক্যালেন্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে গতকাল থেকেই শুরু হতে চলেছে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষা একাডেমিক কার্যক্রম।

পড়াশুনো:- এক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয়েরই প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সেমেস্টারের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ২০২১ সালের ৭ইমার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে সেমেস্টার শেষের মূল্যায়ন ২০২১ সালের ১০ থেকে ২৪শে মার্চের মধ্যেই করতে হবে, যাতে ফলাফল এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে প্রকাশ করা সম্ভব হয়। অন্যদিকে যদিও অ্যাক্টিভিটি ক্যালেন্ডারে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের শিক্ষা অ্যকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে৷ সেক্ষেত্রে ক্লাস করানোর জন্য CBCS-র আবশ্যকীয় শর্তাবলীকেই মেনে বিভাগগুলি চলবে বলে জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পড়াশুনো পদ্ধতি:- বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কতজন অভিভাবক নিজেদের সন্তানদের কলেজে পাঠাতে সমর্থ হবেন সেই নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেছে এখনও। কারণ সবার আগে জীবন। আর বর্তমানে যেভাবে করোনা তার প্রভাব বিস্তার করছে, তাতে অত ছেলেমেয়ের একসঙ্গে বসে পড়া, মোটেই সুরক্ষিত বলে মনে করছেন না অনেকেই। তবে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভাগগুলি কার্যকরী এবং উদ্ভাবনী টিচিং-লার্নিং প্রক্রিয়ার মাধ্যম ডিজ়াইন করতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ডিসট্যান্স মেনে চলতে ডিজিটাল মাধ্যম একটি পদ্ধতি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের মতে, ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং ভার্চুয়াল টিচিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন বলেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ছাত্র সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসলিডেশনের তরফ থেকেও কয়েক দফা দাবি জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ল্যাব নির্ভর বিভাগগুলির ক্ষেত্রে বা যেসব বিভাগে ফিল্ডওয়ার্ক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তাদের জন্য বিকল্প উপায় রাখতে হবে৷ এছাড়া যেখানে শারীরিক উপস্থিতি অত্যাবশ্যকীয়, যেমন- পারফর্মিং আর্টস, জিওলজি সহ অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। অন্যদিকে ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবে না৷ সেক্ষেত্রে লাইব্রেরি ডিজিটাইজ়ড করার দাবিও তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবহন ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও আসতে পারবে কিনা, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই অনলাইন ক্লাস করারও দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বুঝে ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ক্যালেন্ডার পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!