প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক – শিক্ষক সমস্যা মেটাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর “ইন্টার্ন” দাওয়াই রাজ্য January 15, 2019 এবার রাজ্যের প্রত্যন্ত প্রান্তে শিক্ষকদের ঘাটতি মেটাতে এক অভিনব ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় একদিকে যেমন “সাপ মড়ল তেমনই লাঠিও ভাঙল না” বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কি এমন ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? সূত্রের খবর, গত কাল নবান্নে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজ অধ্যক্ষদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বৈঠক শেষেই শিক্ষকদের ঘাটতি মেটাতে নব্য স্নাতকদের কলেজ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, তরাই, ডুয়ার্স, ঝাড়গ্রাম, জঙ্গলমহল, পশ্চিম মেদিনীপুর ও সুন্দরবনের কিছু অংশে যেখানে শিক্ষকদের সমস্যা রয়েছে, সেখানেই এই ইন্টার্ন শিক্ষক চালু করা হবে। যেখানে সাধারন স্নাতকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অনার্স সহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তররা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন। আর এই প্রাথমিক স্কুলে নিযুক্ত ছেলেমেয়েদের দু’হাজার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নিযুক্ত ছেলেমেয়েদের আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ইন্টার্ন শিক্ষক হিসেবে যে সমস্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছেলেমেয়েরা কাজ করবেন তাদের পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যা ভবিষ্যতে তাঁদের কর্মজীবনে অনেক কাজে লাগবে। এদিকে এই ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য মুখ্যসচিব, শিক্ষাসচিব এবং অর্থসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পে অনেকটাই সময় লাগবে বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাশে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যে এইরাজ্যে হয়েছে এদিন সে কথাও জানান। এদিকে শিক্ষার গুণগত মান সঠিক রাখতে “আন্ডার ওয়ান আমব্রেলা” পদ্ধতি চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস একটি প্রস্তাব রাখলে তাতে সম্মতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিকরনে সরকার যে বদ্ধপরিকর এদিন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকদের নিয়ে বৈঠকে সেই কথা ফের জানিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আপনার মতামত জানান -