প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতির আগেই দেশের অর্থনীতি প্রায় খাদের ধারে পৌঁছে গিয়েছিল। আর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ভারতীয় অর্থনীতিতে কফিনের শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রয়োজন বিনিয়োগ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সেই বিনিয়োগে পড়ছে বাধা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

কিন্তু তাতেও কাজের কাজ যে কিছু হয়নি সে কথা স্পষ্ট। আর সেকথাই এবার আরও স্পষ্ট করে বলে দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি। পৃথিবীর সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেকটি দেশ, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে‍ জানিয়েছেন, দেশের কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা যথেষ্ট নয়, বরং খুবই সীমিত কয়েক কোটি দেশবাসীর জন্য।

এবং এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আরও রাস্তা ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে দেশের অর্থনৈতিক খারাপ পরিস্থিতির জন্য সবার আগে হাত গুটিয়ে নিয়েছে কম আয়ের মানুষ বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরা খরচ করতে পারছেন না। করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই অভিজিৎ ব্যানার্জিসহ বহু অর্থনীতিবীদ জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে গেলে সবার আগে মানুষের বিকিকিনি বাড়াতে হবে। আর তার জন্য মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু সরকার সে পথে যায়নি। লকডাউনে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধি রেকর্ড হারে কমে গিয়েছে।

তবে এদিন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি আশা প্রকাশ করেছেন, জুলাই-সেপ্টেম্বরে ত্রৈমাসিক পর্বে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কিছুটা হলেও বাড়বে। অন্যদিকে, দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা আগেই। তবে এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জির বক্তব্য সামনে আশায় বিরোধীদের দাবি মান্যতা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অর্থনীতিকে আবার টেনে তুলতে যা যা পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলি কতটা কাজ করে তা বোঝা যাবে জুলাই সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিক রিপোর্টে বলে মনে করা হচ্ছে।