প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ময়দানে নামতেই ‘ইন্দিরা ম্যাজিক’ ফিরে পেতে তুমুল উৎসাহ শুরু কংগ্রেস শিবিরে জাতীয় February 12, 2019 প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর প্রথম রোড শো ঘিরে লক্ষৌবাসীর উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। সোমবার সকাল থেকেই শহরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে স্বাগত জানাতে সাজো সাজো রব পড়ে যায় আমজনতার মধ্যে। কংগ্রেসের বড় বড় হোডিং এবং ব্যানারে মু্ড়ে দেওয়া হয় লক্ষৌকে। কোনও পোস্টারে প্রিয়াঙ্কাকে দেবী দূর্গার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, কোথাও আবার পিতামহী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর তুলনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে চাক্ষুষ করার জন্যে ভিড় বেড়েছে উৎসাহীদের মধ্যে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করায় কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা যে কতোটা অক্সিজেন পেয়েছে তা বুঝিয়ে দিয়েছে রোড শোতে আমজনতার ঢল। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু হওয়া ১৭ কিলোমিটারের রোড শো ছিল কংগ্রেসের সদর দপ্তর অ্যাভিনিড রোডে। সেখানে কয়েক কিমি অন্তর একটি করে জমায়েত ছিল। কোনো জমায়েতের ঢাক কাঁসরের সামনে ছিল গোলাপি পোশাকের দল। যাঁদের বুকে লেখা ছিল প্রিয়াঙ্কা সেনা! আবার কোনো কোনো জমায়েতের হাতে ছিল ব্যানার,যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর ছবি ছবি লাগানো এবং পাশে লেখা ‘ইন্দিরাজি ইজ ব্যাক’। এই রোড শোতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পাশে ছিলেন তাঁর দাদা রাহুল গান্ধী এবং মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত,৬০ বছর আগে এমনই একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল কংগ্রেস। ১৯৫৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪২ বছর বয়সী ইন্দিরা গান্ধীর নতুন কংগ্রেস সভাপতির পদে অভিষেক হয়েছিল। সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করে প্রথমেই এলাহাবাদ এবং লক্ষৌয়ের বিরাট সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ইন্দিরা। ইতিহাস আবার তার পথ দেখিয়ে দিল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম রোড শো রীতিমতো মাতিয়ে দিয়ে গেল লক্ষৌকে। একটি মডিফায়েড ট্রাকের ছাদে গঠিত হয়েছিল মেকশিফট মঞ্চ। সেখানেই গান্ধী-নেহরু পরিবারের নতুন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা কংগ্রেসের নয়া সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে গেলেন৷ বস্তুত শেষ কবে শেষ কবে হজরতগঞ্জ থেকে লালবাগ গার্লস কলেজ, ডিএসপি চৌরাস্তা থেকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মার্গে কংগ্রেসের কোনও রোড শোয়ের জন্য গোটা শহরের ট্রাফিক স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এবং নবাবনগরীতে কংগ্রেসের পতাকা উড়েছে, তা কেউ স্মরণই করতে পারলেন না। এই রোড শোতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পাশে ছিলেন তাঁর দাদা রাহুল গান্ধী এবং মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল,এই রোড শোতে কোনো কংগ্রেসের কোনো প্রবীণ নেতাকে দেখা যায়নি। কারণ একটাই,কংগ্রেস এবারের লোকসভা ভোটে বারবার দাবী করেছে দেশের দায়িত্ব নবীন প্রজন্মকে দেওয়া হোক। তাই সেই যুবশক্তির বিজ্ঞাপন হিসাবে রাহুল,প্রিয়াঙ্কা এবং সিন্ধিয়াই সামনে ছিলেন। ১৭ কিলোমিটারের যাত্রাপথ হলেও অন্তত ৫০ টি স্থানে দাঁড়াতে হয়েছিল সংবর্ধনা নেওয়ার জন্যে। ট্রাকে ছোঁড়া হয়েছে ফুল,পাল্টা মালা ছুঁড়েছেন প্রিয়াঙ্কাও। দুপুর একটায় রোড শুরু হলেও শেষ হতে হতে বিকেল গড়িয়ে যায়। কংগ্রেসের সদর দপ্তরের সভামঞ্চে ট্রাক ঢোকার পর উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজবব্বর ঘোষণা করলেন,’নেহরু-গান্ধী পরিবার দেশের জন্য স্বাধীনতার আগে থেকেই আত্মোৎসর্গ করেছেন। আজ আবার লখনউ থেকে সেই ঐতিহ্য মেনেই কংগ্রেসের শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।’ উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা-রাহুল গান্ধীদের দেখার জন্যে মানুষের ঢল এতো বেশি ছিল যে তাঁদের লক্ষৌতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই শহরের পুলিশ ফোর্স আরো বাড়াতে হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করার কংগ্রেসের ইতিহাসে একরি স্মরণীয় ঘটনা বলেই দাবী করলেন কংগ্রেস নেতারা। আপনার মতামত জানান -