এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রিয়াঙ্কার হত্যাকারীদের হল মৃত্যু, সারা দেশ ফেটে পড়েছে উল্লাসে

প্রিয়াঙ্কার হত্যাকারীদের হল মৃত্যু, সারা দেশ ফেটে পড়েছে উল্লাসে

এখনও এদেশে মেয়েরা সবসময় সব জায়গায় সিকিউর বা নিশ্চিত নিরাপত্তা পায় না। সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের পশুচিকিৎসক প্রিয়াঙ্কার রেড্ডিকে গণধর্ষণ করে তাঁকে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনায় সে ছবি আরেকবার সামনে এসেছে। একের পর এক ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যার ঘটনায় তীব্র ধিক্কারে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। দেশের আপামর জনগণ এই ধর্ষণকাণ্ডের জন্য একটাই বিচার আশা করেছিলেন, এবং তা হল ফাঁসি। তবে এবার ফাঁসি না হলেও চার ধর্ষণকারীর মৃত্যু হয়েছে পুলিশের হাতে এনকাউন্টারে। এই ঘটনায় সারাদেশে খুশি ছড়িয়ে পড়েছে। হায়দ্রাবাদ হত্যাকাণ্ডে অনেকেই দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ছবি দেখতে পেয়েছিলেন। এদিন প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণকারীদের এনকাউন্টারে মারা যাবার খবর শুনে সকল নাগরিক হায়দ্রাবাদ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

যদিও এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কিন্তু তাতে কোনো প্রভাব পড়ছে না জনমানসে। আপাতত 4 ধর্ষণকারী মারা যাওয়ায় হায়দ্রাবাদ পুলিশকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেশের নানা প্রান্তের মানুষ। অনেকেই জানিয়েছেন, এভাবেই যেন ধর্ষকদের শাস্তি হয়। কিন্তু পুলিশের দাবি ধর্ষণকারীদের ধর্ষণ করার শাস্তিস্বরূপ গুলি করে মারা হয়নি। তারা পুলিশের ওপর আক্রমন করে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল, তাই তাদের থামানোর জন্যই পুলিশকে গুলি করতে হয়। পুলিশের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্টই খুশি দেশের আপামর জনগণ।

উল্লেখ্য, হায়দ্রাবাদের পশুচিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে রাতেরর অন্ধকারে ধর্ষণ করে ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এই নারকীয় ঘটনা সামনে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ঘটনার ভয়াবহতায় স্তম্ভিত হয়ে যায় দেশের মানুষ। প্রত্যেক জনগণ দাবি তোলে, এই চার ধর্ষণকারীদের একটাই শাস্তি, আর তা হল মৃত্যু। এদিন হায়দ্রাবাদ পুলিশ ঘটনার পুনঃতদন্ত করতে ওই চার অপরাধীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এবং সেখানেই চার অপরাধীকে পুলিশি এনকাউন্টারে প্রাণ হারাতে হয়। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, চার অপরাধী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে চার ধর্ষণকারীদের মৃত্যুতে গোটা দেশ ফেটে পড়েছে উচ্ছ্বাসে। যে পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে চার ধর্ষণকারীকে এনকাউন্টার করা হয়, তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। সব জায়গাতেই তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ সহযোগে বার্তা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার পুলিশের ওপর অসংখ্য মানুষ পুষ্পবৃষ্টি করে তাদের স্বাগত জানান। প্রত্যেকেই পুলিশের এই পদক্ষেপের ফলে যথেষ্ট আনন্দিত। এতদিন রুপোলি পর্দায় পুলিশের এ ধরনের পদক্ষেপের দৃশ্য দেখা গেছে। এবার বাস্তবে একই ঘটনা ঘটায় মনে করাচ্ছে সিংহম কিংবা সিম্বার দৃশ্য। তেলেঙ্গানার রাস্তায় দেখা গেছে সাধারণ মহিলারা বেরিয়ে এসে পুলিশের হাতে রাখি পড়াচ্ছেন। শুধু তেলেঙ্গানা বা হায়দ্রাবাদে নয়, এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসব শুরু হয়েছে। অনেকেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই ঘটনার জন্য মিষ্টি বিতরণ করেছেন সবার মাঝে।

সমাজতত্ত্ববিদদের মতে, একের পর এক হওয়া ধর্ষণকাণ্ডের ফলে সাধারণ মানুষের মন চূড়ান্ত ক্ষোভে ভরে উঠেছে। সেই জায়গা থেকেই প্রত্যেকেই ধর্ষণকারীদের জন্য ভেবে রাখে চূড়ান্ত শাস্তি। তবে আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থার ফাঁক গলে অনেক অপরাধীই এই ঘৃণ্য অপরাধ করে মুক্তি পেয়ে যায়। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির হত্যাকারীদের এনকাউন্টারে মারা যাবার খবরে দেশের সাধারণ জনগণের মনে এই ঘটনা বিশাল প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যেকের মনে বিদ্রোহের যে আগুন জ্বলছিল, মনে করা হচ্ছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ এই বিদ্রোহকে কার্যের রূপ দিয়েছে। তবে কিছু মানুষ আবার পুলিশি এনকাউন্টারের বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে যে যাই করুক না কেন, নির্দয় হত্যাকারীদের যে এভাবে হত্যা হলো তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশের কোন জায়গা রাখেনি দেশের অধিকাংশ জনগণ।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!