আজই কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফয়সালা? কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা? বিশেষ খবর রাজ্য May 10, 2018 রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসাবে যোগ দিতে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের ও নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয়বাহিনীর তত্বাবধানে নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার দাবিতে আরো বেশ কিছু জনস্বার্থ মামলা হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর করা মামলা। আজ সেই সমস্ত মামলার শুনানি শেষ হওয়ার কথা প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির শেষে এই মামলার রায় দেবেন বিচারপতিরা দুপুর দুটোর সময়। ফলে পঞ্চায়েতের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে আজই। কেননা আগের দিনের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতি বুথে একজন করে সশস্ত্র পুলিশ ও একজন করে লাঠিধারী পুলিশ দেওয়া হবে এবং নির্বাচন কমিশন তা মেনেও নিয়েছে। কিন্তু, দেবাশিসবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় তাঁরা খুশি নন। কেননা প্রথমত, সশস্ত্র পুলিশ হিসাবে রাজ্য বনরক্ষী, কারারক্ষী বা আবগারি দপ্তরের বাহিনী ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে, যাঁরা নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা কতটা রক্ষা করতে পারবেন সেই নিয়ে সন্দিহান সবাই। অন্যদিকে, বুথচিত্র অনুযায়ী (সাধারণ, স্পর্শকাতর ও অতি-স্পর্শকাতর) কোনো নিরাপত্তার শ্রেণীবিন্যাস করা হয় নি। তাই সবমিলিয়ে ভোটকর্মীদের সুরক্ষা কতটা নিশ্চিত হবে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। দেবাশিসবাবু ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, সবদিক বিবেচনা করে কলকাতা হাইকোর্টের রায় যদি ‘মানবিক’ না হয়, তাহলে হয়ত তাঁরা উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাববেন। ফলে আজ আদালতের রায়ের পরেও যে ১৪ তারিখের ভোট সুনিশ্চিত একথা বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে সিপিএমের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন ইমেলে পাঠানো মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই উপরিম কোর্টে গেছে। ফলে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় তা দেখেই হয়তো কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিতে চাইবে, ফলে আজকের রায়দান পিছিয়েও যেতে পারে। সবমিলিয়ে আজ পঞ্চায়েত জট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আরও পাকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। আর তাই রাজ্যের আপামর জনসাধারনের চোখ এখন আদালতের দিকেই। আপনার মতামত জানান -