এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের নামে কাটমানি, দুর্নীতির পোস্টারে ছেয়ে গেল এলাকা, অস্বস্তিতে শাসকদল

প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের নামে কাটমানি, দুর্নীতির পোস্টারে ছেয়ে গেল এলাকা, অস্বস্তিতে শাসকদল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাটমানি, ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদল তৃণমূলকে বারবার অভিযুক্ত করে থাকে বিরোধীদল মহল। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিতে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি, ও কাটমানি নেওয়ার গুরুতর অভিযোগে শাসক দল তৃণমূলের কিছু নেতাদের নামে পোস্টার পরল। এই পোস্টার দেবার ঘটনাকে শাসক দল তৃণমূলেরই কিছু অংশের কাজ বলে দাবি করা হচ্ছে। গত রবিবার সকালে গলসি ১ ব্লকের উচ্চগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সরোজ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামী শেখ আকেল আলির বিরুদ্ধে এমনই পোস্টার পরতে দেখা গেল। এই ঘটনায় তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন উচ্চগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সরোজ চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে উচ্চগ্রাম বাজার, স্কুল মোড়, মসজিদ তলা , ক্লাবের সামনে, মন্দিরে সামনে ও বিভিন্ন জায়গায় ১৫ টি পোস্টার দেখা যায়। যেগুলিতে সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা হয়েছে। এই পোস্টর গুলিতে সরকারি কাজে ঘুষ নেওয়া, পার্ক তৈরিতে দুর্নীতি, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, পঞ্চায়েতে ঠিকাদারের কাছে ঘুষ নেওয়া ইত্যাদি অভিযোগ আছে। পোস্টারে লেখা আছে সমস্ত গ্রামবাসী সৌজন্যে। এই পোস্টার তাদের বিরোধী গোষ্ঠীর দেওয়া বলে দাবি করলেন উচ্চগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সরোজ চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেছেন যে, পোষ্টারে লেখা এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা, তাঁর বিরোধীরাই এমন চক্রান্ত করেছে। দলের ব্লক নেতৃত্বকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। দল যদি চায়, তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে পারে।

প্রসঙ্গত গলসির উচ্চগ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর যথেষ্ট বিরোধ আছে। এক গোষ্ঠীতে আছেন সরোজবাবুরা। অন্য গোষ্ঠীতে আছেন শেখ আব্দুল গাফফার, শেখ আমির আলি সহ কিছু তৃণমূলের কিছু নেতা কর্মীরা। সম্প্রতি, সরোজ বাবুর নিয়ন্ত্রণে আছে উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েত। অন্যদিকে দলের ব্লক সভাপতি বদল করা হয়েছে। নতুন ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে আমির আলী গোষ্ঠীর। ব্লক সভাপতির বদলের পর থেকেই উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এ প্রসঙ্গে শেখ আমির আলি জানিয়েছেন যে, পোস্টার সম্পর্কে কোনো কিছুই তিনি জানেন না। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, এই পোস্টার যারাই দিয়ে থাকুন না কেন, তাদের অভিযোগ একেবারে ঠিক। তিনি দাবি করেছেন যে, কয়েক বছর ধরে দলের নাম করে বেশ কিছু নেতা যথেষ্ট দুর্নীতি করেছেন। তারা চান দলের নেতৃত্বে এই অভিযোগগুলোর তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হোক। তবে উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনসা বাউরি এ প্রসঙ্গে জানালেন, ” দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে বা পঞ্চায়েতে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।’’

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির ৫৮ নম্বর মন্ডল সভাপতি রাজু পাত্র জানালেন, ” কাটমানির ভাগ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল রাজ্যের সর্বত্রই চলছে। এখানেও তাই হয়েছে। মানুষ সবই জানেন। ’’ তবে এ প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, তৃণমূল দুর্নীতির সঙ্গে কখনোই আপস করে না। তবে এ বিষয়টি নজরে এসেছে। এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এভাবেই দলের এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীকে ঘুষ, কাটমানির নামে অভিযুক্ত করার ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল আবার প্রকাশ্যে এসে গেল। সম্প্রতি, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। যা যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!