প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে এখন প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দলবদল। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল হোক বা বিজেপি, প্রতিটি রাজনৈতিক দল অপরের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই দলবদল নিয়ে জলপাইগুড়িতে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যেকার চাপানউতোর চরম আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করা হয় যে, তৃণমূল ভুল বুঝিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের নিজেদের দলে যোগদান করাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মাল বিধানসভা এলাকায় প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী বলরাম এক্কা‌।

কিন্তু এদিন আবার তিনি তৃণমূল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে ফিরে আসেন। আর তাকে কেন্দ্র করেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে গেলেও, আবার কেন বিজেপিতে ফিরে আসলেন, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন অব্যাহত। জানা গেছে, শনিবার জলপাইগুড়ি বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজের হাতে তুলে নেন। কিন্তু এই রকম ঘটনা কেন ঘটল?

কেন যে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন, আবার সেই দলে ফিরে আসতে হল বলরামবাবুকে? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বলরাম এক্কা বলেন, “ওই দলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকে গুরুত্ব দেয়নি। কাজের পরিবেশ তৃণমূল কংগ্রেসে নেই। তাই পুরনো দল বিজেপিতেই প্রত্যাবর্তন করলাম।” এদিকে তৃণমূলে যাওয়া নেতা আবার নিজেদের দলে ফিরে আসায় কিছুটা হলেও উজ্জীবিত ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “ভুল বুঝতে পেরে উনি আবার বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। তৃণমূল নানাভাবে আমাদের দলের কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে দলে টানছে। ওদের অনেক জনপ্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা বিজেপিতে আসতে চাইছেন। তৃণমূলে যারা সৎ এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, আমরা তাদের দলে নেব।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে দল ভাঙ্গানোর অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা কি সত্যি?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে পাল্টা জবাব দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “প্রতিদিনই বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আরও অনেকে যোগ দেবেন। প্রতিদিন চমক রয়েছে।” কিন্তু কোথায় চমক? এক বিজেপি নেতা ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন, কিন্তু তারপর আবার যেভাবে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন, তাতে তো তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়ল। এখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলবদলের বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।