এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রভাবশালী তত্ত্বে আদালতে হলফনামা দায়ের মমতা-মলয়ের, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে!

প্রভাবশালী তত্ত্বে আদালতে হলফনামা দায়ের মমতা-মলয়ের, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদ কান্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট গ্রেপ্তার হওয়ার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। গ্রেপ্তার হওয়ার দিনেই সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই গোটা বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে আনতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। যেখানে অন্য রাজ্যে এই মামলা স্থানান্তরিত করার দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা।

স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে যান তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের দাবিকে নস্যাৎ করে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট তাদের বক্তব্য শুনতে চায়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের শীর্ষ আদালত এই ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়ার পর এবার হাইকোর্টে সেই ব্যাপারে নিজেদের আবেদন জমা করলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের এই আবেদনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলায় হলফনামা গ্রহণের জন্য একটি আবেদন করেন। যেখানে তারা জানান, উচ্চ আদালতে 29 তারিখ শুনানির আগে যেন তাদের হলফনামা গ্রহণ করা হয়। মূলত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তারা যে এই হলফনামা গ্রহণ করার ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই নারদ কান্ডে শুনানির আগে এই ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীর অভিযোগ যাতে সিবিআই না করে এবং নারদ মামলাকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যাতে আটকে যায়, তার জন্যই সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত পেয়ে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত মে মাসের 17 তারিখে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ তোলা হয়। পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে দেখা যায়। এমনকি আইনমন্ত্রীর পদক্ষেপ থেকেও তৈরি হয় প্রশ্ন।

আর এই পরিস্থিতিতে প্রভাবশালীর তত্ত্বের অভিযোগ তুলে এই মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার জেরে হাইকোর্টে হলফনামা দেওয়ার চেষ্টা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। তবে এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে নারদ কান্ডের শুনানির আগে এই ব্যাপারে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ফলে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!