এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘিরে রণক্ষেত্র আসানসোল, পুলিশের দিকে তাক করে বোমা থেকে গুলি!

কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘিরে রণক্ষেত্র আসানসোল, পুলিশের দিকে তাক করে বোমা থেকে গুলি!

মহামারী করোনা মোকাবিলায় যখন একসাথে লড়াই চালাচ্ছে সবাই, ঠিক সেসময় অন্য ছবি দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আসানসোলে। সারাদেশের সাথে সাথেই পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে প্রবলভাবে। সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যে রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি আসানসোলের নিকটবর্তী চুরুলিয়া যুব আবাসনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে গেলে আপত্তি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, এবং সেখান থেকেই শুরু হয় খন্ডযুদ্ধ।

জনতা পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে পুলিশের দিকে তাক করে বোমা থেকে শুরু করে গুলি পর্যন্ত ছোঁড়া হয় বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অন্তত 14 জন আহত হয়েছেন। জামুড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের ওপরেও চড়াও হয় গ্রামবাসীরা, এমনকি সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে খবর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরুলিয়া যুব আবাসকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করার পর 14 জন ব্যক্তিকে ওই যুব আবাসে রাখার জন্য আজকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে এবং সংখ্যালঘু গ্রামবাসীরা তীব্র আপত্তি জানান এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ব্যবহারের জন্য। তাঁদের দাবি, এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়বে। তাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কোন বহিরাগতকে রাখা চলবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবস্থা আয়ত্তে আনতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরাই বিপাকে পড়েন। এলাকাবাসীকে বোঝাতে গেলে পাল্টা উত্তেজিত জনতা পুলিশের দিকে গুলি, বোমা ইত্যাদি ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতির চাপে পরে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়। আর তারপরেই মুহুর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাইক থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয় জামুরিয়া থানার পুলিশকে। পরিস্থিতির খবর পেয়ে এলাকায় উপস্থিত হন আসানসোলের পুর নিগমের মেয়র পরিষদ পুণ্যশশী রায়। সূত্রের খবর, তিনিই সমস্ত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের পক্ষ থেকে যাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অর্থাৎ ওসি থেকে কনস্টেবল প্রত্যেকেই কম-বেশি আহত হয়েছেন চুরুলিয়ার ঘটনায়। ঘটনার পর গ্রামে ইতিমধ্যে পুলিশ পিকেট বসেছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য চলছে এলাকাজুড়ে চিরুণি তল্লাশি। সূত্রের খবর, কয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বিবাদ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন জেলা থেকে বিক্ষোভ, অবরোধ ও হিংসার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য প্রশাসনকে আরও সাবধানী হয়ে এবং আরো পুলিশ ফোর্স সমেত এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!