সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে ভাঙড়ে ই-মনোনয়নে জেতা প্রার্থীরা বিপাকে! জাতীয় নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য August 25, 2018 কথায় আছে, “ওস্তাদের মার শেষ রাতে”! পঞ্চায়েত বোর্ড-গঠনের আগে সেই কৌশলগত মারেই হয়ত এবার কুপোকাত হতে হবে ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের। সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে ভাঙড়ের জমিরক্ষা কমিটির কিছু সদস্য মনোনয়ন জমা দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করে। কিন্তু তখন সেই জমি কমিটির মামলা চলায় ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে সেই মনোনয়ন গ্রহনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আর এরপরই জেলার নির্বাচন কমিশন এই কমিটির আটজনের মনোনয়নপত্র গ্রহন করে। কিন্তু গতকাল রাজ্যের পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বীতায় জয়ী সংক্রান্ত এক মামলার রায় দিতে গিয়ে সেই ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে অবৈধ বলে ঘোষনা করল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলেন, “জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে এই ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কোনোও আইনি বিধান নেই”। আর শীর্ষ আদালতের এই রায়ে চরম বিপাকে পড়েছে ভাঙড়ের সেই জমিরক্ষা কমিটির আটজন সদস্য। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অনেকেরই প্রশ্ন, এই আটজনের মধ্যে পাঁচজন নির্বাচনে জয়ীও হয়েছে। তাহলে সেই জয়ী সদস্যদের ভবিষ্যত কি? এ প্রসঙ্গে দক্ষিন ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃনাল রানো বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরই বলব”। অন্যদিকে এই ব্যাপারে জমি রক্ষা কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তী বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বিষয়ে কোনো কথাই বলেনি। তাই এই জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তাও নেই”। সব মিলিয়ে এখন ভাঙড়ের জমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের ই-মেল বা হোয়াটস অ্যাপে জমা দেওয়া মনোনয়ন আদৌ গ্রাহ্য হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। কেননা বিরোধীদের বরাবরের দাবি শাসকদলের ‘সন্ত্রাসের’ ফলে তাদের অধিকাংশ প্রার্থী মনোনয়নই জমা দিতে পারে না নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে। তাই এবার ই-মনোনয়নে বৈধতা দেওয়া হোক – আর ভাঙড় নিয়ে কলকাতা আদালতের সিদ্ধান্তে নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সুপ্রিম রায়ে তা আপাতত বিষ বাঁও জলে! আপনার মতামত জানান -