মুখে বললেও আদৌ কি চীন বিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্প? নতুন তথ্য সামনে আসতেই শুরু বিতর্কের তীব্র ঝড় আন্তর্জাতিক October 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীন বিরোধিতা কারোর কাছে অজানা নয়। প্রবলভাবে তিনি চীন বিরোধী। একাধিকবার চীনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে বিষেদাগার করতে দেখা গেছে তাঁকে। দু’বছর আগে বিভিন্ন ব্যবসাতে শুল্কসহ একাধিক বিষয়ে চীন অন্যায়ভাবে সুযোগ নিয়ে থাকে, চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে তিনি বাণিজ্য যুদ্ধে নেমেছিলেন চীনের বিরুদ্ধে। ব্যবসা-বাণিজ্যে চীনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করতে দেখা যায় আমেরিকাকে। এর পাল্টা হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করে। কিন্তু এবারে দেখা গেল যে, চিনা ব্যাংকেই একাউন্ট রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গেল। গতকাল মঙ্গলবার ‘নিউইয়র্ক টাইমসে’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁর চিনা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। এই একাউন্টটি এখনো সচল আছে। তবে ট্রাম্পের আইনজীবী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এই অ্যাকাউন্টটি এখনও সচল থাকলেও এর আর কোনো ব্যবহার নেই। এই একাউন্টের হিসাব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ম্যানেজমেন্ট। গত ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এই সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে ওই ব্যাংক একাউন্টের লেনদেনের হিসাব দিয়ে আয়কর দিয়েছে। ট্রাম্পের এক মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এশিয়াতে হোটেল ব্যবসার সম্ভাবনা ও সুযোগ এর বিষয়ে জানতে এই অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল। চিনা ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৬১ ডলার স্থানীয় কর দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে যে, ট্রাম্পের আয়কর রেকর্ড হাতে পাওয়ার পর এই ব্যাংক একাউন্টের বিষয়ে তারা জানতে পেরেছেন। ট্রাম্পের আয়কর রেকর্ডে তাঁর ব্যক্তিগত ও তার কোম্পানির আর্থিক বিষয়ের বহুল বর্ণনা পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত আমেরিকা ও আমেরিকার বাইরেও নানা দেশের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্য রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডে আছে তাঁর গলফ কোর্স। চিনে আছে বিলাসবহুল ফাইভস্টার হোটেল। চীন, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড সহ একাধিক দেশে আছে তাঁর অসংখ ব্যাঙ্ক একাউন্ট। আবার ভোটের প্রচারে নিজেকে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী রোনাল ট্রাম্প। করোনার উৎপত্তিস্থল হিসেবে যেমন তিনি বারবার অভিযুক্ত করেছেন চীনকে। তেমনি বিশ্বজুড়ে করোণা মহামারী ছড়িয়ে দেবার জন্য দায়ী করেছেন তিনি চীনকে। তাঁর বিপক্ষ প্রার্থী বিরুদ্ধে জো বিডেনের তিনি জানিয়েছিলেন যে, জো বিডেন জয়লাভ করে তাতে লাভ হবে চীনের। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চীনা পণ্য বয়কট করে, মেক ইন আমেরিকার পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে বিশেষ আবেদন জানিয়েছিলেন দেশবাসীকে। এতকিছুর পর তাঁর চীনা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় তা নিয়ে প্রবল শোরগোল পড়ে গেল। তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও উঠে গেছে প্রশ্ন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, তাঁর মত ব্যবসাদার মানুষ অসংখ্য বিদেশি ব্যাংকে একাউন্ট খুলে রেখেছেন। তাই চীনা ব্যাংকের একাউন্টের বিষয়টি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আপনার মতামত জানান -