এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল গেরুয়া শিবিরে, দলের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন দলের এই ক্ষুব্ধ বিধায়ক

প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল গেরুয়া শিবিরে, দলের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন দলের এই ক্ষুব্ধ বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই দলের গোষ্ঠী কোন্দল ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে বিজেপি শিবিরে। একাধিকবার দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকছেন দলের বেশ কিছু নেতৃত্ব। গত শনিবার বনগাঁ শহরে বিজেপির এক সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তবে, বৈঠক উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির একাধিক বিধায়ক। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, এমনকি বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। নিজের অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে দলের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।

গণমাধ্যমের সামনে দলের একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি জানালেন, আগামী দিনে কেউ আর থাকবেন না বিজেপিতে। গত শুক্রবার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বনগাঁর বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারী ও তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির কর্মীরা কেন দলে থাকবেন? বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারী দল করতে গিয়ে মারধর খেয়েছিলেন, মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে বিজেপি নেতাদের সময় হয়নি তাঁর বাড়িতে গিয়ে ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর। তিনি অভিযোগ করেছেন, শ্মশান যাত্রী হিসেবে পর্যন্ত দলের কেউ যান নি। আগামী দিনে কোন কর্মী আর বিজেপিতে থাকবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মৃত বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তাঁর শেষকৃত্যতে, এ কারণেই বৈঠকে যোগদান করতে পারেননি তিনি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানালেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন বৈঠক করতে এসেছিলেন, দলের নেতৃত্বের উচিত ছিল বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারীর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি জানিয়ে তাঁর বাড়িতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, এ বৈঠকে যোগদান করেননি বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। দলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তিনি দীঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, দলের কর্মী মারা গেলেন বিধায়ক দিঘায় গেলেন আনন্দ করতে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আবার, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি মনস্পতি দেব জানিয়েছেন যে, ঋষভ অধিকারীর মৃত্যুর পর তাঁর বাড়িতে দুজন মন্ডল সভাপতি গিয়ে ছিলেন, তিনি দেরি করে খবর পেয়েছিলেন। তিনি জানালেন, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস হলেন জেলা সহ-সভাপতি। তাই তাঁরও উচিত ছিল বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানো, তাদের সঙ্গেও তিনিও আলোচনা করতে পারতেন বিষয়টি নিয়ে।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এবার তিনি অনুপস্থিত থাকলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে। আর দলের একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন তিনি। একসময় আবার মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। জানা যায়, মুকুল রায় দল ছাড়ার পর দলের অনুষ্ঠানে খুব একটা অংশগ্রহণ করছেন না বিজেপির এই বিধায়ক। তাই তাঁকে নিয়ে বাড়ছে নানা জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!