এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রচারে এসেই তৃণমূল প্রার্থীর ধমকানি-চমকানি শুরু, ভিডিও সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক

প্রচারে এসেই তৃণমূল প্রার্থীর ধমকানি-চমকানি শুরু, ভিডিও সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রকাশ হয়েছে তৃণমূলের 291 টি আসনের প্রার্থী তালিকা। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবার পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অনেকেই দল ছাড়তে শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থী পদের টিকিট না পেয়ে। কিন্তু তার মধ্যে যারা টিকিট পেয়েছেন, তাঁরা তাঁদের কাজে নেমে পড়েছেন। হুগলির সপ্তগ্রাম থেকে টিকিট পেয়েছেন তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত। এর আগের বারেও অবশ্য তপন দাশগুপ্তই প্রার্থী হয়েছিলেন। তৃণমূল মন্ত্রিসভায় তিনি কৃষি বিপণন মন্ত্রী বলে পরিচিত। শনিবার সপ্তগ্রামে প্রচারে বেরিয়েছিলেন এই নেতা। কিন্তু প্রচারে বেরিয়ে যেভাবে তিনি ভোটারদের হুমকি দিয়ে ফেললেন, তা যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

পাশাপাশি বিরোধীরা এই সুযোগে শুরু করেছে তীব্র কটাক্ষ। এদিন ভোট প্রচারে বেরিয়ে তপন দাশগুপ্ত ভোটারদের উদ্দেশ্যে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেখানে তিনি ভোট পাবেন না সেইসব বুথে ভোট পরবর্তীতে জল পাওয়া যাবে না, জলের লাইন যাবেনা বুথের বাসিন্দাদের কাছে। বিজেপিকে দিয়ে জল পাওয়ার কাজ করাতে হবে। যথারীতি একটি ভিডিওর মাধ্যমে তপন দাশগুপ্তর এই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। পাশাপাশি অনেকেই বলতে শুরু করেন, গোটা বুথের মানুষকেই রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তপন দাশগুপ্তকে তিনি বাম বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে চেনেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি যখন এভাবে হুমকি দিচ্ছেন, তখন বুঝে নিতে হবে এবারের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমুল চূড়ান্ত হতাশা থেকে লড়াই করছে। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলেন, তিনি মোটেও অবাক হননি। পাশাপাশি তিনি বাংলার মানুষের ওপরই সবটা ছেড়ে দিয়ে বলেন, বাংলায় সভ্য ভদ্র নম্র সরকার হবে নাকি গুন্ডা মস্তানদের সরকার হবে সেটা ঠিক করবে জনগণ। অন্যদিকে তপন দাশগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি কোনরকম যোগাযোগ করেননি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের মুখে এভাবে ভোটদাতাদের হুঁশিয়ারি, ধমক দেওয়া খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল শিবিরে চূড়ান্ত অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। যেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বক্ষণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক সেসময় তাঁরই দলের নেতা যেভাবে বুথের অধিবাসীদের জল না দেবার হুমকি দিলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। পাশাপাশি তপন দাশগুপ্তর আচরণের বিরোধিতা করছেন রাজ্যের প্রতিটি বিরোধী শিবির।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!