প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। গত কিছুদিন ধরেই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৯০৩ জন মানুষ। করোনায় মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জন মানুষের।

এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বৈঠক ডেকেছেন। যে বৈঠকে যোগদান করার অনুরোধ করা হয়েছে দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই বৈঠকে যোগদান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে যোগদান করবেন না

জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে বারোটায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক। এই বৈঠকে যোগদান করতে চলেছেন দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরা ভার্চুয়াল ভাবে। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে এক জনসভায় যোগদান করতে চলেছেন। আজ বেলা বারোটা থেকে এই সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। একারণেই বৈঠকে তিনি যোগদান করতে পারছেন না।

প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগদান করতে গেলে এই সভা হয় পিছিয়ে নিতে হত, কিংবা তা আজকের জন্য বাতিল করে দিতে হতো। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনের আবহে তা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে করা অসম্ভব বলেই জানা গেছে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় তিনি যোগদান করতে পারছেন না। প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগদান করতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

করোনার কিছু বৈঠকে যেমন যোগদান করেননি তিনি, তেমনি কিছু দিন আগে নীতি আয়োগের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র বিরোধী মুখ হিসেবে দেশের মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিভিন্ন বৈঠকে ইতিপূর্বে যোগদান করেননি তিনি। তবে, করোনা সংক্রমণ যেভাবে দেশজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে, দেশ যেভাবে বিপদের দিকে এগোচ্চে, সেসময় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগদান না করায় প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।

এতে হিতে-বিপরীতের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। কারণ, করোনা মোকাবিলায় সকলের সম্মিলিত যোগদান আবশ্যক। সেক্ষেত্রে জনসভার কারণে বৈঠকে যোগদান না করার সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রীর জনদরদী ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বেশ কিছু বিশ্লেষক। অনেকে এটাও বলছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে নিজেকে জনদরদী হিসেবে প্রচার করেন,সেক্ষত্রে তাঁর এই সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত ডেকে আনতে পারে।