এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রকাশ্যে দলীয় নেতার সঙ্গে বিবাদ কল্যাণের! অস্বস্তি শাসক শিবিরে!

প্রকাশ্যে দলীয় নেতার সঙ্গে বিবাদ কল্যাণের! অস্বস্তি শাসক শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের আক্রমণ করে রীতিমতো বেলাগাম মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিরোধীদের আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনে নিজের দলের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেছে, রবিবার কোন্নগরে তৃণমূলের কর্মী সভায় যোগ দেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই কানাইপুরের প্রসঙ্গ উঠতে শুরু করলে আচ্ছেলাল নামে এক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কানাইপুরে শুধু তুমি জিতবে, আর সাংসদ, বিধায়ক হারবে, এটা হবে না। লোকসভা ভোটে হেরেছি। এবার চার হাজার ভোটে জেতাতে হবে।” আর এরপরই দর্শকাসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আচ্ছেলালবাবু বলেন, “যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের বলুন।

সাথে সাথেই কল্যানবাবু প্রশ্ন করেন, “তুমিও তো কানাইপুরে আছো।” সাথে সাথেই সরাসরি দল ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা আচ্ছেলালবাবুর গলায়। এদিকে দল ছাড়ার কথা বলার সাথে সাথেই রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। দলের এই কর্মীকে হুঁশিয়ার দিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তুমি অনেক রংবাজি করেছো। একদম চোখ রাঙাবে না। থাকতে হলে থাকবে, না থাকলে ছেড়ে চলে যাবে।”

সাথে সাথেই কল্যানবাবুকে উদ্দেশ্য করে আচ্ছেলাল বাবু বলেন, “আপনি ডেকে এনে অপমান করছেন।” আর প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে দলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের এই ধরনের বিবাদ রীতিমত তৃণমূলের অস্বস্তি যে প্রবল ভাবে বাড়িয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা বাহুল্য, এই আচ্ছেলালবাবু জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদবের ভাই বলেই পরিচিত।

আর তার সঙ্গে যেভাবে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাতে বিতর্ক এবং অস্বস্তি প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাবে। তবে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাদ চলার কিছুক্ষণ পরেই আচ্ছেলালবাবু তার অনুগামীদের নিয়ে সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন। কিন্তু এভাবে দলের কোনো কর্মীকে কটাক্ষ করা কি ঠিক? সামনে নির্বাচন।

তার আগে যদি দলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সামান্য নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে এইভাবে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন নেতারা, তাহলে যে দলবদল এবং বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে, তা কেন বুঝতে পারছেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নেতা! এখন তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সেই আচ্ছেলালবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “কল্যান দায়িত্ব নিয়ে হুগলি জেলায় তৃণমূলকে শেষ করছেন। উনি দল এবং সরকারের বদনাম করছেন। সাংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছেন। এই নাটক করার উদ্দেশ্য হল, ওনার আর প্রবীর ঘোষালের মধ্যে আঁতাত আছে। উনি চাইছেন কর্মীদের উত্তেজিত করে তাড়িয়ে দিতে‌। যাতে তারা প্রবীর ঘোষালের হয়ে কাজ করেন।” অন্যদিকে পাল্টা এই ব্যাপারে সরব হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “আমাকে লোকসভা ভোটে পাঁচ হাজার ভোটে হারিয়েছিল। কানাইপুরে বিজেপি জিতেছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে, কে বিজেপির সঙ্গে আছে। দলের প্রার্থীকে জেতাতে আমাকে জানতে হবে, কোথায় কি অবস্থা। কর্মীসভায় সেগুলো পয়েন্ট আউট করতে বলেছি। একটা আচ্ছেলাল না থাকলে কিছু যায় আসে না।” তবে মুখে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথাই বলুন না কেন, এই ভাবে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তার কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় গোটা বিষয়টি যে খুব একটা ভালো দিকে গেল না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।

এমনিতেই বিজেপির প্রভাব গোটা রাজ্য জুড়ে বাড়ছে। তার মধ্যে বিজেপিকে যখন প্রধান আক্রমণ করা উচিত তৃনমূল কংগ্রেসের, তখন তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এইভাবে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য যে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ দলের পক্ষে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাদের পরে যদি দলত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত নেন আচ্ছেলালবাবু, তাহলে কি ভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে শাসকদলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!