প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বরাবর অভিযোগ শোনা যায়। কার্যত তৃণমূল সুপ্রীমো নিজে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার কথা বললেও তাতে কাজ কিছুই হয়নি। কিন্তু নারকোল ফাটানো নিয়ে 2 তৃণমূল হেভিওয়েটের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব সামনে এল তাকে কী বলা হবে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। শুক্রবার কাশিপুর বেলগাছিয়ার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। আয়োজকরা এই অনুষ্ঠানে এলাকার বিধায়ক ও রাজ্যসভার অন্যতম সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিও রীতিমত সেজে উঠেছিল ফুলের সাজে। সমস্যা তৈরী হয় উদ্বোধনের আসল সময়টিতে। কার্যত প্রকাশ্যেই হাসির উদ্রেক করল এই সমস্যা। কাশিপুর বেলগাছিয়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং কাশিপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ। দুজনেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা বলেই পরিচিত। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উদ্বোধন হেতু আয়োজকরা অতীন ঘোষের হাতে একটি নারকেল তুলে দেন ফাটানোর উদ্দেশ্যে।

যেহেতু নারকেল একটি শুভ বস্তু হিসাবে যেকোন কিছুর শুরুতে নারকেল ফাটানো হয়। এদিকে অতীন  ঘোষ কোনোভাবেই শান্তনু সেনের পাশে দাঁড়িয়ে একা নারকেল ফাটাতে রাজী নন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সময় চলে যাচ্ছে, উদ্বোধনও হচ্ছেনা। শেষমেষ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করার জন্য বিধায়ক অতীন ঘোষের নারকেল ধরা হাতেই হাত রাখেন সাংসদ শান্তনু সেন। কিন্তু সেখানেই বাধে গোল।

দুজনে একসাথে একটা নারকেল ফাটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যান। শেষমেষ বিধায়ক অতীন ঘোষের হাত থেকে নারকেল নিয়ে শান্তনু সেন নিজেই সেটি ফাটিয়ে দেন। মজাদার এই ঘটনাটি ক্যামেরা বন্দী হয়ে যায় মুহুর্তের মধ্যে। আর স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাটি হাসির উদ্রেক করেছে ঘটনাস্থলে। কার্যত রাজনৈতিক মহলে কিন্তু এই নিয়ে শুরু হয়েছে মজাদার চর্চা। অনেকেই মজা করে নারকোল ফাটানো নিয়ে সাংসদ বিধায়ক এর দ্বন্দ্ব বলছেন। মজাদার এই দৃশ্যটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।