এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রকাশ্য সভা থেকে দেখে নেওয়ার হুমকি! প্রচারের শেষ দিনে বিস্ফোরক মমতা!

প্রকাশ্য সভা থেকে দেখে নেওয়ার হুমকি! প্রচারের শেষ দিনে বিস্ফোরক মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনী লড়াইয়ে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ লেগেই আছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। আর তার আগে আজ প্রচারের শেষ দিন। তবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে নজরকাড়া কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন রয়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে আজ সেখানে প্রচার করতে নেমে পড়েছে শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল।

একদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে যখন প্রচারে আসছেন অমিত শাহ, ঠিক তখনই সকাল সকাল হুইলচেয়ার করে জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে সোনাচূড়ার সভায় উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই নির্বাচন শেষের পর কার্যত দেখে নেওয়ার কথা শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বস্তুত, নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার সাথে সাথেই রাজ্যের সমস্ত প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব চলে যায় কমিশনের হাতে। সেই মত করে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে শাসক পক্ষ। আর এবার প্রচারের শেষ দিনে ভোট শেষে অন্য রাজ্যের পুলিশ থাকবে না, তারপর পাণ্ডাদের দেখে নেব বলে হুংকার ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, আজ রোড শো-এর পর সোনাচূড়ার একটি সভায় উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভোট শেষে আর অন্য রাজ্যের পুলিশ থাকবে না। তখন পাণ্ডাদের দেখে নেব। ভোট না দিয়ে কেউ ফিরবেন না। ইভিএম খারাপ থাকলে অপেক্ষা করুন।” স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেত্রী তথা এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এই ধরনের প্রতিহিংসার সুর সামনে আসায় রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচারের শেষ দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বক্তব্য রাখায় বিরোধীরা এই বিষয় নিয়ে এবার কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে। কেননা নির্বাচনের সময় এই ধরনের দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি রীতিমত বিধিভঙ্গের মধ্যেই পড়ে। স্বভাবিকভাবেই তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থীকে চাপে রাখতে বিজেপির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অনেকে আবার বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের কথা বলেন, তার মুখ থেকে কি এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায়? কেন তিনি নির্বাচনের পরে দেখে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন? সমালোচকদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করা অতটা সহজ নয়। তাই এখন থেকেই হুমকি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না।

তবে যে যাই বলুন না কেন, শেষ মুহূর্তের প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের উক্তি এখন যে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!