প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পদধ্বনি যতই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ততই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা দিচ্ছে পরস্পরের মধ্যে মারামারি হানাহানি এমনকি হত্যাকাণ্ডে। বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘর্ষ প্রতিদিন ভেসে আসছে সংবাদ মাধ্যমের পাতায়। এই পরিস্থিতিতে হুগলি জেলার আরামবাগ পৌরসভা অঞ্চলে জনৈক বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাট দিয়ে প্রচন্ড গুরুতর আঘাতের অভিযোগ উঠে এলো শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আজ হুগলি জেলার আরামবাগ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জনৈক বিজেপি কর্মী শেখ জুয়েল স্থানীয় একটি বাজারের নিকটে তার এক বন্ধুকে নিয়ে গল্প করছিলেন। ঠিক এই সময়ে বেশ কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতীর হঠাৎ করে তার ওপর আক্রমণ করে বসে। প্রথমে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিজেপি কর্মী শেখ জুয়েল।

এরপ শেখ জুয়েল তার ওপর অবিশ্রান্ত বর্ষিত গালাগালির জবাব দিতে গেলেই তাদের মধ্যে বেঁধে যায় চূড়ান্ত বচসা। এই বচসা থেকে ক্রমেই শুরু হয় মারামারি। বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা তাকে বন্দুকের বাট দিয়ে প্রচণ্ড মারধোর করে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।

প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাজারের রাস্তায় পড়ে থাকা গুরুতর আহত বিজেপি কর্মী শেখ জুয়েলকে স্থানীয় মানুষেরা শেষপর্যন্ত উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। শেখ জুয়েলের উপর আক্রমণের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায়। এই ঘটনা সম্পর্কে আরামবাগ বিজেপি নেতৃত্ব শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে জানিয়েছেন, মূলত বিজেপি দল করার অপরাধেই বিজেপি কর্মী শেখ জুয়েলকে এমনভাবে মারধর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

নিজের উপর হওয়া এই বেনজির আক্রমণের জন্য বিজেপি কর্মী জুয়েল শেখ শাসকদল তৃণমূলকেই অভিযুক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, এর পূর্বেও বহু বার তাকে ভয় দেখানো হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশকিছু সদস্যের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি কর্মী শেখ জুয়েল। তবে নিজেদের কর্মীদের দিকে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে আরামবাগ তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে নির্বাচনের প্রাকলগ্নে নিজেদের দলের প্রতি এই বেনজির অভিযোগে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই বিভিন্ন মহলের অভিমত।