এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > প্রকৃতির চাপে পিছু হঠতে চলেছে চীনা সেনাবাহিনী, পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর

প্রকৃতির চাপে পিছু হঠতে চলেছে চীনা সেনাবাহিনী, পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লাদাখে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত ও উদ্বেগজনক বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য দফায় দফায় বৈঠক চলছে দুই দেশের মধ্যে। অন্যদিকে দীর্ঘ 43 বছর পর সীমান্ত নিয়ে ভারত চীন সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। আর তারপর থেকেই চীনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির লাদাখ সফর বর্তমান ভারত চীন আন্তর্জাতিক আবহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক মাস যাবত সীমান্তের এপারে গালওয়ান সীমান্ত নিজেদের হস্তগত করার উদ্দেশ্যে রীতিমতো সেনা সমাবেশ শুরু করেছিল বেজিং। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে সে ছবি পরিষ্কার হয় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কাছে। ভারত এবং চীনের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে গালওয়ান নদী এবং সেই নদীর জল ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য চীনের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি বুলডোজার নিয়ে আসা হয়।

রীতিমত মিলিটারি কার্যকলাপ শুরু হয় সেখানকার মাটিতে। সে ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং তার পরেই গত মাসের 15 তারিখে ভারত এবং চীন সীমান্তে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। যার ফলে ভারতের কুড়ি জন সেনা জওয়ান ঘটনাস্থলে শহীদ হন। পাল্টা চীনের তরফেও যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে কথা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে যুদ্ধংদেহী মনোভাব। তবে ভারতের তরফে চীনকে বারংবার সেনা সরানোর জন্য আবেদন জানানো হলেও সে কথায় কর্ণপাত করেনি বেজিং সেনাবাহিনী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবার প্রকৃতির জোরের কাছে চীনা সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হলো বলে জানা গেছে। হঠাৎ করেই গালওয়ান নদীতে জলস্তর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে গালওয়ান নদীর দুপাশে্র বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় ভেসে গেছে বলে খবর। গত কয়েকদিন ধরেই গালওয়ান  নদীর উপত্যকায় রীতিমতো ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল চীনা সেনাবাহিনী। আপাতত বিপদকালীন পরিস্থিতিতে চীনা সেনাবাহিনীকে যে পিছিয়ে যেতে হবে সে কথাই স্পষ্ট বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে ভারত চীন যুদ্ধকালীন আবহে চীনা আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ভারত সরকার কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও চীন যে রীতিমতো কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে তা এতদিনে স্পষ্ট। ভারত সরকার ব্যবসায়ী দিক দিয়ে চীনকে রীতিমত চাপে ফেলেছে বর্তমানে। মনে করা হচ্ছে, ভারতের পক্ষ থেকে এ একধরনের স্নায়ুর চাপ বাড়ানোর ইঙ্গিত। আপাতত প্রকৃতির রোষের কাছে বেজিং নতি স্বীকার করে কিনা, সেদিকেই এখন লক্ষ্য রেখেছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!