এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > প্রশাসনের চোখের সামনেই ভরাট পুকুর, পাচার গাছ! অভিযোগে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!

প্রশাসনের চোখের সামনেই ভরাট পুকুর, পাচার গাছ! অভিযোগে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুরুলিয়া জেলার ঝালদায় স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অন্যায় ভাবে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। রাতের অন্ধকারে এই জমি থেকে গাছ কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশের কাছে বারবার এই বিষয়গুলো জানিয়েও কোনো ফল হয়নি।

বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে বেশকিছু স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ‘ঝালদা জমি রক্ষা কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করেছে। গত সোমবার ঝালদা জমি রক্ষা কমিটি এসডিও সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে গণস্বাক্ষর কৃত অভিযোগ পত্র জমা করে। তাদের অভিযোগ ছিল ঝালদা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবাড়ীর সামনে পরে আছে প্রায় এক হাজার ডেসিমিল জমি। যার মধ্যে ৩০০ ডেসিমিল জমি হলো রায়তি জমি, বাদবাকি হলো খাস জমি। এই খাস জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে তাদের অভিযোগ।

এরপর গত গত বুধবার পুরুলিয়া জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই জমির মাপজোক করার জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আগামী সোমবার এই জমির মাপ যোগ করার কথা ছিল।

কিন্তু তার পূর্বেই ঝালদা জমি রক্ষা কমিটি কয়েকজন সদস্য গতকাল শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ভবনে উপস্থিত হলেন। সেখানে তাঁরা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তদন্ত কমিটি নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানালেন। আরও জানালেন সরকারি জমি বেদখল নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ করেও কোন ফল হয় নি। জমি নিয়ে মাপজোকের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিযোগকারীরা।
কারণ, তদন্ত কমিটিতে ঝালদা জমি রক্ষা কমিটির কোন সদস্যকে স্থান দেওয়া হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তদন্ত কমিটিতে অভিযোগকারীদের কাউকে রাখা যে সম্ভব নয়, তা জেলা সভাধিপতি স্বীকার করেছেন। তাঁর যুক্তি, যদি কমিটির দাবি মেনে কোন একজনকে এখানে স্থান দেওয়া হয়। তাহলে আবার কেউ এই কমিটিতে আসার দাবি জানাতে পারেন।

গতকাল ঝালদা জমি রক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য চিরঞ্জীব চন্দ্র, অসিত কান্দু অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ” তদন্ত কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁদের অনেককেই আমরা মৌখিক ভাবে জমি বেদখলের অভিযোগ বারবার জানিয়েছি। লাভ হয়নি। তাই তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ঝালদা জমি রক্ষা কমিটির যে কোনও দু’জন সদস্যকে তদন্ত কমিটিতে রাখতে হবে।’’

অন্যদিকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি অন্যতম সদস্য ঝালদা ১ বিএলএলআরও পার্থ সন্ন্যাসী জানিয়েছেন যে, যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে তিনি ইচ্ছুক নন। তদন্ত কমিটির ওপর এক সদস্য তথা ঝালদার তৃণমূলী পুরপ্রশাসক প্রদীপ কর্মকার জানিয়েছেন যে, এই তদন্ত আদৌ নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। তাঁর অভিযোগ, কিছু মানুষ জমি রক্ষা কমিটির নামে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তবে এ প্রসঙ্গে জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” অভিযোগকারীরা তাঁদের দাবি আমাকে জানিয়েছেন। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করে মহকুমা স্তরের এক জন সরকারি আধিকারিককে মাথায় রেখে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাই অভিযোগকারীরা তদন্ত শুরুর আগেই যদি তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেটা ঠিক নয়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!