এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশাসক বোর্ডের মাধ্যমেই পৌর বাজেট! উন্নয়ন স্তব্ধ না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত, দাবি তৃণমূলের!

প্রশাসক বোর্ডের মাধ্যমেই পৌর বাজেট! উন্নয়ন স্তব্ধ না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত, দাবি তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো পৌরসভার নির্বাচন করানো সম্ভব হয়নি। যার মধ্যে অন্যতম কলকাতা পৌরসভা। এদিকে নির্বাচন না হলে জনতা জনার্দনের সমস্ত কাজ আটকে থাকা নিয়ে চিন্তায় পড়ে প্রশাসন। যার ফলে নির্বাচন করা সম্ভব নয় অনুভব করে প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে মাথায় রেখে উন্নয়নের জন্য সেই পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ড গঠন করে দেয় রাজ্য সরকার। যা নিয়ে নানা সময় নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বিরোধীদের তরফ থেকে নানা প্রশ্ন করা হয়েছে। তবে সেই প্রশাসক বোর্ডের মাধ্যমেই বর্তমানে চলছে কলকাতা পৌরসভা। তবে যে কারণে এই প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছিল অর্থাৎ উন্নয়নের কাজ যেন আটকে না থাকে, এবার সেই কারণেই উন্নয়নের কাজকে ত্বরান্বিত করতে 2020- 21 অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ আয়-ব্যয়ের আর্থিক বিবরণী পেশ করা হল।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই আর্থিক বিবরণী পেশ করেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। যেখানে সাধারণ মানুষের জনজীবন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে ভালো মাপের টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর। বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে রাজস্ব আদায় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। কিন্তু তারপরেও যেভাবে মানুষের সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয় কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে বরাদ্দের জন্য কোনোরকম কার্পণ্য করা হয়নি, তাতে পৌরসভার জনমোহিনী ভাবমূর্তি ফুটে উঠছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গেছে, চলতি আর্থিক বর্ষে আনুমানিক আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে 4127.71 কোটি টাকা। অন্যদিকে ব্যয় হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে 4298.37 কোটি টাকা। আর বাজেটে ঘাটতি রয়েছে 170.66 কোটি টাকা।

তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন বিষয়ে বরাদ্দ আশার আলো সৃষ্টি করছে জনসাধারনের মনে। দেখা গেছে, পানীয় জল সরবরাহে বরাদ্দ করা হয়েছে 408.12 কোটি টাকা। গতবছর জঞ্জাল সাফাইয়ে 603.92 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও, এবার তা বাড়িয়ে সেখানে বরাদ্দ করা হয়েছে 606 কোটি টাকা। একইভাবে স্বাস্থ্য খাতে গতবছর 158.86 কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, এবার তা বেড়ে হয়েছে 163.47 কোটি টাকা।

অন্যদিকে নিকাশি ব্যবস্থায় গত বছরের বরাদ্দের পরিমাণ 273.58 কোটি টাকা হলেও, এবার তা হয়েছে 280.32 কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, রাস্তার উন্নয়নেও ব্যাপক বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গতবছর রাস্তা উন্নয়নে 321.59 কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, এবার তা বেড়ে 325.07 কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও বরো অঞ্চলের উন্নয়ন থেকে শুরু করে আলোর বরাদ্দ গতবছরের থেকে এবার বরাদ্দের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বর্তমানে পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ড রয়েছে। তাই সেই প্রশাসক বোর্ড যেভাবে এই বাজেট বিবরণী পেশ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কিন্তু এই প্রসঙ্গে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে পৌরসভা। এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “প্রথাগত নিয়মে বাজেট পেশ করা সম্ভব নয়। তাই সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করেছি। গত ফেব্রুয়ারীতে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হয়েছিল। 30 সেপ্টেম্বর যার পূর্ণ মেয়াদ হতে চলেছে। তার আগে বাজেট করে আগামী 6 মাসের ব্যয় বরাদ্দ না করলে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু জনপরিসেবা সচল রাখতে হবে। আমরা ভোটে যেতে ভয় পাই না। মানুষের পাশে রয়েছি। তৃণমূল ভোটের জন্য প্রস্তুত।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিরহাদ হাকিম এই কথা বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। একদিকে কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন না হওয়া নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা, তখন বাজেট বিবরণী পেশ করে যেমন তার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি, ঠিক তেমনই এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বেশি বাড়িয়ে মানুষের পাশে যে তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ফিরহাদ হাকিম।

লকডাউনের মধ্যে যখন মানুষের রুজি-রুটি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, ঠিক তখনই সেই মানুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের জনমোহিনী ভাবমূর্তি আরও বেশি করে তুলে ধরার চেষ্টা করল কলকাতা পৌরসভা বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!