এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রতারণা কান্ডে ধৃত বিজেপির সদস্য? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই চাপে পদ্ম শিবির!

প্রতারণা কান্ডে ধৃত বিজেপির সদস্য? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই চাপে পদ্ম শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনা ঘটার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে এই গোটা ঘটনায় ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল বিরোধীতার রাস্তা বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার প্রতারণা কাণ্ডে পাল্টা চাপে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে কিছুদিন আগেই নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার করার পাশাপাশি সিবিআইয়ের স্টিকার ব্যবহার করা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, ধৃতের নাম সনাতন রায়চৌধুরী। আর এবার তার সঙ্গে বিজেপি যোগের খবর প্রকাশ্যে এল। যার ফলে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রতারণা কান্ডের জন্য গ্রেপ্তার করা হয় সনাতন রায়চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে। জানা যায়, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। কিন্তু একাধিক ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। আর এবার তার কাছ থেকে বিজেপির ছাপ দেওয়া ভিজিটিং কার্ডের পাশাপাশি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের এক্সিকিউটিভ মেম্বার বলে লেখা একটি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এই ব্যক্তি বিজেপির সক্রিয় সদস্য?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই এতদিন ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক ব্যক্তির ছবি সামনে এনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল গেরুয়া শিবির‌। আর এবার প্রতারণা কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া সনাতন রায়চৌধুরীর সঙ্গে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি স্পষ্ট হতেই পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তবে চাপে পড়ে এই গোটা ঘটনায় অবশ্য সাফাই দিতে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “মিসড কল দিয়েই বিজেপির সদস্য হওয়া যায়। দলীয় সদস্যপদের জন্য রশিদের প্রয়োজন হয় না। পুলিশ প্রশাসন নজর না দেওয়াতেই এই সিন্ডিকেট চলছে। গোটা বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” অর্থাৎ এই ব্যাপারে ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা সামনে হলে এবং তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একাংশ সরব হলেও, এর পেছনে পুলিশ প্রশাসনের ঢিলেমি রয়েছে বলেই পাল্টা সোচ্চার হতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে। অর্থাৎ জয়প্রকাশবাবু বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, রাজ্যজুড়ে এই রকম ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই অবিলম্বে এই অপরাধমূলক ঘটনাকে বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ হেভিওয়েট বিজেপি নেতার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!