এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রতারণার শিকার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, খোয়া গেল 12 লক্ষ টাকা! চাঞ্চল্য রাজ্যে!

প্রতারণার শিকার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, খোয়া গেল 12 লক্ষ টাকা! চাঞ্চল্য রাজ্যে!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রতারণা কান্ড ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের একাধিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এই ঘটনার মূল পান্ডা গ্রেপ্তার হওয়া দেবাঞ্জন দেবের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে শাসকদলের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার প্রতারণার শিকার হলেন এক তৃণমূল নেতা।

জানা গিয়েছে, নদীয়ার রানাঘাট পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর শংকর অধিকারী প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। যেখানে এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, সেই স্বর্ণমুদ্রাগুলো ভুয়ো। আর তারপরেই প্রতারকের আর কোনো খোঁজ পাননি। যার জেরে স্বর্ণ মুদ্রার বিনিময়ে প্রতারককে দেওয়া 12 লক্ষ টাকা খুইয়ে এখন কার্যত সর্বস্বান্ত শংকর অধিকারী নামে শাসকদলের সেই হেভিওয়েট নেতা। ইতিমধ্যেই তিনি এই ব্যাপারে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

জানা গিয়েছে, বীরভূমের লাভপুর এলাকার বাসিন্দা গোপাল সর্দার নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচিত হয় তৃণমূল নেতা শংকর অধিকারীর। আর সেই সময়ে সেই গোপাল সর্দার শংকরবাবুকে বেশ কিছু স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করতে দেওয়া বলে। পরবর্তীতে সোনার দোকানে গিয়ে সেই স্বর্ণমুদ্রাগুলো দেখানোর পর সোনার দোকানের কর্মীরা তাকে সঠিক স্বর্ণমুদ্রা বলে আখ্যা দেওয়ার পরেই মোট 95 টি স্বর্ণমুদ্রা দেন গোপাল সর্দার নামে ওই যুবক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 6 তারিখে সেই গোপাল সর্দার শংকরবাবুর বাড়িতে এসে তার হাতে সেই স্বর্ণমুদ্রাগুলো তুলে দেয় এবং 12 লক্ষ টাকা নেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে প্রতারক জেরক্স করার নামে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর এরপর দীর্ঘ খোঁজ করেও শঙ্করবাবু সেই গোপাল সর্দারকে পাননি। আর তারপরেই সন্দেহবশত সেই স্বর্ণমুদ্রাগুলো নিয়ে গিয়ে সোনার দোকানে দেখান তিনি। আর এরপরই সোনার দোকানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই স্বর্ণমুদ্রাগুলো ভুয়ো। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরেই কার্যত মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে শংকর অধিকারী সেই নামে তৃণমূল নেতার। 12 লক্ষ টাকা দিয়ে যেভাবে প্রতারিত হলেন, তাতে রীতিমতো হা-হুতাশ করতে থাকেন তিনি।

ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রতারিত তৃণমূল নেতা শংকর অধিকারী বলেন, “আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। আইনের উপর আমার আস্থা রয়েছে। বিবাহযোগ্যা দুই মেয়ের কথা ভেবেই আমি ওই স্বর্ণমুদ্রা কিনেছিলাম। তবে এমন কাণ্ড ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।” বিশ্লেষকরা বলছেন, সত্যিই এই ঘটনা নজিরবিহীন। প্রতারণা চক্রের বাসা যে রাজ্যে ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

যেভাবে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা প্রতারকের ফাঁদে পড়লেন এবং 12 লক্ষ টাকা খোয়ালেন, তাতে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের এই ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন সকলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রতারণার শিকার হওয়া তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতারককে ধরতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!