রাজকুমার রায়ের মৃত্যুকে সামনে রেখে আজ নীরব প্রতিবাদে মুখর হবে কলকাতার রাজপথ বিশেষ খবর রাজ্য May 23, 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পরিচালনা করতে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ কলকাতার রাজপথে মুখে কালো কাপড় বেঁধে দলমত নির্বিশেষে মৌন বিক্ষোভ কর্মসূচী নিতে চলেছে বিভিন্ন সরকারী কর্মচারী ও শিক্ষক সংগঠনসমূহ। দুপুর ৩ টে থেকে এস্প্লানেডের ওয়াই-চ্যানেলে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ট্রেন দুর্ঘটনাতে প্রাণ গিয়েছিল রাজকুমার রায়ের, কিন্তু নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারীদের এক বৃহদাংশ সেকথা মানতে নারাজ। তাঁরা এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন। আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক দেবাশিস শীল এই প্রসঙ্গে জানান, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল, আর তাই পঞ্চায়েতে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত ছিলাম। ফলে প্রথমে আমরা ছুটে যাই নির্বাচন কমিশনে, কিন্তু সেখানে কোনো সুরাহা না পেয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করি। সেই মামলার শুনানিতে যখন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কারারক্ষী, বনরক্ষী, আবগারি দপ্তরের সশস্ত্র বাহিনী, রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী ও সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নির্বাচন করানোর কথা বলেন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেকথা মেনে নেয়, তখনই আমরা আমাদের আতঙ্কের কথা আদালতকে জানিয়েছিলাম। আর বাস্তবে আমার ভাই রাজকুমার রায়কে নিজের প্রাণ দিয়ে আমাদের আশঙ্কার প্রমান দিতে হল। দেবাশিসবাবু আরো বলেন, কিন্তু দুঃখের কথা একটা রাজকুমার রায়ের কথা সামনে এসেছে, কিন্তু ভোটগ্রহণ ও ভোটগণনার দিন রাজনৈতিক কর্মীদের সন্ত্রাসের ফলে যে নিদারুন অভিজ্ঞতা হয়েছে হাজার হাজার ভোটকর্মীর – তাতে আমরা রীতিমত আতঙ্কিত। যেখানে রাজ্য প্রশাসন ভোটকর্মীদের সামান্য সুরক্ষাটুকুও দিতে পারে না – সেখানে কেন বারেবারে সরকারি কর্মীদের এইভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে? আগামী দিনে, কোনো মায়ের কোল খালি করে, কোনো স্ত্রীর সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে আর কাউকে যেন রাজকুমারের মত গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নিজের প্রাণের মূল্য দিতে না হয় – তাই আজ আমরা দলমত নির্বিশেষে এই মৌন-বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছি। এই সরকারের ঘুম যতদিন না ভাঙবে – গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের এই বিক্ষোভ চলবেই। আপনার মতামত জানান -