এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনেই জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে ‘হঠানোর’ দাবি! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না সিপিএম-কংগ্রেসের চাল?

রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনেই জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে ‘হঠানোর’ দাবি! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না সিপিএম-কংগ্রেসের চাল?

শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে একদা কংগ্রেস গড় মুর্শিদাবাদের ধীরে ধীরে ফুটতে শুরু করেছে ঘাসফুল। তবে, এখানে শাসকদলের দাপট বাড়লেও – পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও, বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলে। আর, এবার শুভেন্দু অধিকারীর রাণীনগরের সভাতেই জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা ডোমকলের পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ বিক্ষোভ এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন।

স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয় মুর্শিদাবাদ জেলার শাসক দলের নেতৃত্বদের। সূত্রের খবর, গত রবিবার মুর্শিদাবাদের রানীনগরে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। আর সেই সভাতেই শুভেন্দু অধিকারী আসার ঠিক আগেই বক্তা হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা ডোমকল পুরসভার চেয়ারপার্সন সৌমিক হোসেনের।

এদিকে নাম ঘোষণা হতেই সৌমিক হোসেন বলার জন্য নিজের চেয়ার থেকে ওঠার সাথে সাথেই এই জনসভার ভিড়ের মধ্যে থেকেই স্লোগান উঠতে থাকে “সৌমিক হটাও”। যা শুনে তাজ্জব বনে যান স্বয়ং সৌমিক হোসেনও। চুপচাপ যেন ‘বাধ্য ছেলের’ মতো নিজের চেয়ারে বসে পড়ে নিজেকে সামলে নেন তিনি – বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি। এদিকে এই ঘটনার পর পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হলেও, শাসকদলের অন্যান্য নেতা এবং পুলিশের তৎপরতায় তা শান্ত হয়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হল? বিশেষজ্ঞদের মতে, মুর্শিদাবাদ জেলায় ধীরে ধীরে শাসকদলের দলীয় কোন্দল বেড়েই চলেছে। কেননা কদিন আগেই খোদ জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশের হাতে আক্রান্ত হতে হয় জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অশোক দাসকে বলে অভিযোগ ওঠে। আর অশোক দাসের পর এবার সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে দলীয় জনসভার মধ্যে থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের একাংশ স্লোগান তোলায় তীব্র চাপে পড়তে শুরু করেছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।

অন্যদিকে, রাণীনগরের শুভেন্দু অধিকারীর এই সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত সাহাকেও। যদিও বা সুব্রতবাবু তাঁকে বলেই অন্য একটি কাজে গিয়েছেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, হঠাৎ সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে স্লোগান ঠিক কে বা কারা তুললেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখানে সিপিএম ও কংগ্রেস কিছু চর পাঠিয়েছে। আর তারাই এসব করেছে”।

আর নিজে এই ব্যাপারে কি বলছেন সৌমিক হোসেন? তিনিও এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর দেখানো পথেই – অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস এবং সিপিএমের দিকেই। তবে শুভেন্দু অধিকারী থেকে সৌমিক হোসেন – যে যাই বলুন না কেন শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলেই যে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের নেতাদের এহেন অস্বস্তি বাড়ছে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এমনকি, শাসকদলের অনেকেই এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন – যদিও ‘শাস্তির’ ভয়ে নাম প্রকাশ্যে আনতে চান না কেউই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!