এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > লকডাউনের জেরে জুটছে না খাবার! অনন্যপায় হয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ বাংলার বুকে! পুলিশের হস্তক্ষেপ

লকডাউনের জেরে জুটছে না খাবার! অনন্যপায় হয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ বাংলার বুকে! পুলিশের হস্তক্ষেপ


বিশ্বজুড়ে যখন করোনার ত্রাসে হাহাকার শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে, সেসময় ভারতেও করোনা হাজির হয়। শুরু হয়েছিল একজনের সংক্রমণ থেকে। আজ সেই সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি। এর মাঝেই গত 24 শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী লকডাউন। লকডাউন এর মধ্যেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বা খাবারের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।

কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে সে কথা অনেক জায়গাতেই ফলছে না লকডাউন এর ফলে। করোনাই হোক আর লকডাউন, সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলির উপর। এবার লকডাউন এর ফলে খাবারের চাহিদা বেড়ে ওঠায় রাস্তা অবরোধে নামলেন উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট থানা এলাকার তেঁতুলতলার বাসিন্দারা সকলে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার লকডাউন শুরু করেছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য।

কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই অবরোধের ফলে সব নিয়মনীতি ভাসে গেল এদিন। জানা গেছে, লকডাউন এর ফলে দোকানপাট সব বন্ধ। কিন্তু তা সত্বেও প্রশাসন বারংবার নির্দেশ দিয়েছে, কোন মতেই যেন কেউ অভুক্ত না থাকে। প্রতিটি রাজ্যের সরকার এ ব্যাপারে যেন সঠিক দায়িত্ব গ্রহণ করে। অন্যদিকে, বাংলাতে অভুক্তদের হাতে খাদ্য তুলে দেওয়ার কাজ চলছে সার্বিকভাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দুঃস্থ, অভুক্তদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজে নেমেছে পঞ্চায়েত, ব্লক স্তর থেকে জেলা পুলিশ পর্যন্ত। তা সত্ত্বেও অভিযোগ উঠেছে, বসিরহাটের ফিফা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা কোন খাদ্য সামগ্রী পাননি। আর সেই অভিযোগে সোমবার লকডাউন উপেক্ষা করে সকলে মিলে বিক্ষোভে সামিল হন। এদিন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, লকডাউন এর জেরে 15 দিন অতিক্রান্ত।

বাড়ির পুরুষেরা কাজে যেতে পারছেননা। তাই ঘরে কোন খাবার নেই। এই অবস্থায় বিক্ষোভ জানানো ছাড়া তাঁদের কাছে আর কোনো রাস্তা ছিল না। ঘন্টাখানেক ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকার পর পুলিশ এলাকায় আসে এবং পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে অবরোধ উঠে যায়। করোনার সংক্রমণ বড় সমস্যা হলেও সাধারণের মুখে খাবার জোটাতে প্রশাসন সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। একাধারে করোনা, অন্যধারে দিন দরিদ্র মানুষদের মুখে খাবার তোলার দায়িত্ব।

দুইদিক সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রতিটি রাজ্যের সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এই বিষয়ে। তবে দীন-দরিদ্র মানুষগুলি বোঝেনা করোনা, বোঝেনা লকডাউন। তাঁদের দাবি, শুধু দুবেলা-দুমুঠো খাবার। আর সেই কারণেই লকডাউন ওঠার অপেক্ষায় যদি সবথেকে বেশি কেউ থাকে, তাহলে তাঁরা হলো এই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!