প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পয়লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। আর তার আগে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বেশিরভাগ আসনেই প্রথম দফার নির্বাচনে তারা জয়লাভ করবে। এমনকি দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও তারা ভালো ফল করবে বলে দাবি করছেন বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা।

আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে মশগুল থাকা ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি এবার প্রথম দুই দফায় নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন। যেখানে প্রথম দদুই দফাতে খাতাই খুলতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করতে দেখা গেল মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে।

সূত্রের খবর, এদিন ঢাকুরিয়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রোড শোতে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই প্রথম দুই দফার ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “জঙ্গলমহল রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। প্রথম দুটো দফাতেই খাতা খুলতে পারবে না তৃনমূল। সব সমাজবিরোধীদের নামিয়ে দিয়েও পারবে না।”

বলা বাহুল্য, বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয় সমাজবিরোধীদের দিয়ে তৃণমূল ভোট ক্যাপচার করার চেষ্টা করছে। আর এদিন সেই অভিযোগকে আরও একবার তুলে ধরে তৃণমূল প্রথম দুই দফায় খাতাই খুলতে পারবে না বলে দাবি করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, আগামীকাল অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রয়েছে। তারপর আরও ছয় দফার নির্বাচন বাকি আছে। তাই পরবর্তী দফাগুলিতেও যাতে বিজেপি ভালো ফল করতে পারে, তার জন্যই এখন থেকে কর্মী সমর্থকদের মনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে দিলীপ ঘোষ এই ধরনের মন্তব্য করলেন। তবে একাংশ আবার বলছেন, এর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভা নির্বাচনের সময় যত আসন পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তা হুবুহু মিলে গিয়েছিল।

স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনে যখন বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে, তখন তাদের দলের সর্বোচ্চ সেনাপতির গলায় এই ধরনের কথা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে প্রথম দফার নির্বাচনের পর যখন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ রাজ্যে এসে দাবি করেছিলেন, তারা 26 টি আসন পাবেন, তখন তা নিয়ে তাদের কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিভাবে আগেভাগেই সব জেনে যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার প্রথম দুই দফায় তৃণমূল খাতা খুলতে পারবে না বলে দিলীপ ঘোষ যে দাবি তুললেন, তাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফের প্রশ্ন তুলে দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের এই দাবি ভোটবাক্স খোলার পর কতটা মিল খায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।