এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রতিবাদী মঞ্চ গড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা! ঘুম উড়তে চলেছে মমতা সরকারের!

প্রতিবাদী মঞ্চ গড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা! ঘুম উড়তে চলেছে মমতা সরকারের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে হঠাৎ করেই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছিল গোটা দেশ। যার ফলে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার শ্রমিকরা প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। একদিকে রুজি-রুটির বন্ধ এবং অন্যদিকে বাড়িতে ফিরে আসতে না পারায় পরিবার-পরিজন প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে কোনোরকম অর্থ উপার্জন না হওয়ায় লকডাউনের মধ্যে কিভাবে তারা বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল সেই সমস্ত শ্রমিকদের মধ্যে।

অবশেষে ভিন রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ফিরে এসেছেন। তবে রাজ্যে আসলেও, এখন তাদের হাতে কোনো কাজ না থাকায় রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন দিনহাটার গ্রামে ফিরে আসা সেই সমস্ত শ্রমিকরা। জানা গেছে, এবার রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে “কর্মসন্ধান শ্রমিক ইউনিয়ন” নামে একটি মঞ্চ তৈরি করছেন সেই সমস্ত পরিযায়ীরা।

ইতিমধ্যেই দিনহাটা 2 ব্লকে শ্রমিকদের নিয়ে একটি কনভেনশন করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় ভিন রাজ্য থেকে ফেরত এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছেন। যেখানে সভাপতি করা হচ্ছে আয়ুব মিয়া এবং সম্পাদক করা হয়েছে কার্তিক বর্মনকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সকলেই রুজিরুটি হারিয়ে ফেলেছেন, তখন সেই সমস্ত শ্রমিকরা এই সংগঠনের মধ্যে দিয়ে তাদের কাজের দাবি জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা বলেন, “গ্রামে কাজ না থাকায় বাইরের রাজ্যে কাজের জন্য কর্মসংস্থানের গিয়েছিলাম। স্থানীয় প্রশাসন বাড়ি আসার পর আশ্বস্ত করেছিল, 100 দিনের কাজ দেবে। কিন্তু ওসব মিলছে না। তাই দাবি আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।” এদিন এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সদস্য গৌতম ঘোষ বলেন, “আমি মহারাষ্ট্রে কাপড়ের মিলে কয়েক বছর ধরে কাজ করছিলাম। লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে এসেছি। আমাদের তো বাঁচতে হবে। সেজন্য এই সংগঠনে নাম লিখিয়েছি। আন্দোলন করলে আশা করি সরকার আমাদের দিকে তাকাবে।”

তবে এই সমস্ত শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে রাজ্য সরকারের দিকে চাপ সৃষ্টি করায় কিছুটা হলেও ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে বিরোধীরা, তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা কর বার জন্য চাপ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের কাছে এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকটি দেখার দাবি জানিয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব শাখা যুবলীগের রাজ্য সম্পাদক আব্দুর রউফ। এখন পরিযায়ী শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে সংগঠন তৈরি করে কাজের দাবি জানালেও তাতে রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!