এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > প্রতিষ্ঠা দিবসের পরেই ছাত্র সংগঠনে বড়সড় বদল, জেনে নিন!

প্রতিষ্ঠা দিবসের পরেই ছাত্র সংগঠনে বড়সড় বদল, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় 28 আগস্ট চারিদিক রমরম করত ছাত্র পরিষদ অর্থাৎ কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের জন্মদিন উপলক্ষে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাটা পড়তে শুরু করে। আর তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই 28 আগস্ট দিনটি মহাসমারোহে পালিত হয় ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। ফিকে পড়ে যায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে। এবারে করোনা পরিস্থিতির কারণে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস ভার্চুয়ালি পালন করেছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও নমো নমো করে পালন করা হয়েছে তাদের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস।

তবে এবার নিজেদের ছাত্র সংগঠনকে আরও ঢেলে সাজাতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব‌। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের যে কমিটি রয়েছে, এবার তা ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের সংগঠন একেবারে ভেঙে পড়েছে বাংলায়। তবে কথায় আছে, যে দলে ছাত্র এবং যুবদের সংগঠন যত বেশি শক্তিশালী, সেই দল তত বেশি গুরুত্ব পায়। তাই সেদিক থেকে এবার ছাত্র সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সবথেকে বেশি মনোযোগী হতে শুরু করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বিগত 2018 সালে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, এতদিন ধরে সেই কমিটিই বহাল ছিল। কিন্তু সেই ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে অনেক নিষ্ক্রিয় মুখ সরিয়ে সক্রিয় এবং নতুন মুখ আনতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদে কোনো বদল না হলেও কমিটিতে যে অনেক নতুন মুখ আসতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হাত শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠনের সভাপতি নীরজ কুন্দন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র পরিষদের বর্তমান কমিটি ভেঙে ফেলার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা গ্রহণ করা হল এবং শীঘ্রই নতুন কমিটি গঠনের কাজ শুরু হবে। তবে সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু কেন নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে? তাহলে কি সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তারা? যারা বর্তমানে ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে রয়েছেন, তাদের কাজে খুশি নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব?

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ বলেন, “সক্রিয় সদস্য নয়, এমন অনেকেই এখন কমিটিতে রয়েছেন, তাই নতুন কমিটি গঠন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর তাহলে আমরা আবার নতুন করে লড়াই শুরু করতে পারব।” অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়াতে এখন সবথেকে বড় সম্বল যে কংগ্রেসের কাছে তাদের ছাত্র সংগঠন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নতুন করে কমিটি সাজিয়ে কংগ্রেস নিজেদের ছাত্র সংগঠনকে কতটা শক্তিশালী করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!