এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজের অভিযোগ, মমতার সতীর্থের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে দলীয় নেতা-কর্মীরা!

প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজের অভিযোগ, মমতার সতীর্থের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে দলীয় নেতা-কর্মীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই এবার প্রভাব খাটিয়ে নিজের ইচ্ছামত পৌর-কর্মীদের বদলি করে দেওয়ার ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমান পৌরসভায়। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকেও বিধায়ক তথা পৌরসভার প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জন্ম নিতে শুরু করেছে।

যার জেরে যখন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বচ্ছতার বার্তা দিচ্ছেন, তখন তার দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ কার্যত চাপের মুখে ফেলে দিল ঘাসফুল শিবিরকে। অভিযোগ, বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক হওয়ার সুবাদে নিজের ইচ্ছে মত কাজ করছেন তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। ইতিমধ্যেই দুই জন কর্মীকে বদলি করে দিয়েছেন তিনি। আর এই ঘটনা নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 15 জুন বর্ধমান পৌরসভার দুই জন কর্মীকে বদল করা হয়। যেখানে একটি আদেশনামায় দেখা গেছে যে, গত 14 জুন বর্ধমান পৌরসভা একটি মিটিং হয়েছিল। যেখানে পৌরসভার প্রশাসক তথা বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই পৌরসভার দুই কর্মীকে লাইসেন্স থেকে ট্যাক্স বিভাগ এবং ট্যাক্স থেকে লাইসেন্স বিভাগে তিন মাসের জন্য বদলি করা হয়। আর এরপরই তৃণমূলের অনেকে তৃণমূল বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অনেকে বলছেন, যাদের বদলি করা হয়েছে, তারা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত।

স্বাভাবিকভাবেই কেন বিধায়ক তথা প্রশাসক এই ধরনের কাজ করলেন, এখন সেটাই তৃণমূল কাউন্সিলরদূর কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দাবি, এভাবে নিজের ইচ্ছেমত বিধায়ক তথা পৌর প্রশাসক পৌরসভা পরিচালনা করছেন। দলকে এবং দলের অন্যান্য নেতাদের মান্যতা না দিয়ে তিনি যদি এইভাবে পৌরসভা পরিচালনা করেন, তাহলে তার ফলে দলেরই আখেরে ক্ষতি হচ্ছে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

স্বাভাবিকভাবেই জয়লাভ করার পর এবার যথেষ্ট বিতর্কের মুখে পড়ে গেলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। যার ফলে গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামনে চলে এল। পাশাপাশি বিরোধীরা এই গোটা ঘটনায় হাতিয়ার পেয়ে গেল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।কেন সকলের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন! এর ফলে কি দলের শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে না? তিনি তো প্রশাসক হতে পারেন! কিন্তু দলের পৌরসভার সঙ্গে এতদিন যারা কাজে যুক্ত ছিলেন, কেন তাদের মনে তার কাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে? তাহলে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তথা পৌরসভার প্রশাসক খোকন দাস বলেন, “পৌরসভার কাজে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিধায়ক হিসেবে পৌরসভার কাজকর্মে আমার হস্তক্ষেপ করার প্রশ্ন নেই। দুটি সভাতেই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এক্সিকিউটিভ অফিসার। সেই আমন্ত্রণ পত্র আমার কাছে রয়েছে। এই ব্যাপারে তাদের কথামত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহকুমাশাসক যেখানে পৌরসভা চালাচ্ছেন, সেখানে আমি কেনই বা কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করব! আর গৃহীত সিদ্ধান্তে আমার কোনো মতামতের ব্যাপার নেই।”

অর্থাৎ বিরোধী দল থেকে শুরু করে তার দলের একাংশ এই ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। যদিও বা কাউন্সিলরদের একাংশ বলছেন, বিধায়ক সবসময় প্রভাব খাটাচ্ছেন। যা দলের ভাবমূর্তিকে যথেষ্ট পরিমাণে নষ্ট করছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!